কুনিও ও আর্টিজান হ্ত্যার বিচারের অগ্রগতি জানতে চাইল জাইকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ মে ২০১৭, ১৬:৫০ | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০১৭, ১৬:৪৩

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসে হত্যার স্বীকার জাপানি নাগরিকদের মামলার বিচারের অগ্রগতির বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে জাপানি সহায়তা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী নিজে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘যে কয়জন এখানে (বাংলাদেশ) হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের বিচারের বিষয়ে আমরা কী ব্যবস্থা নিয়েছি, বিচারে কী হচ্ছে সেগুলো জানতে চেয়েছে তারা।’

আপনি কী বলেছেন, জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘আমরা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি, রংপুরে কোনিও হত্যা মামলার রায় হয়েছে, হলি আর্টিজানেরটাও শেষের দিকে আছে। আমরা যে কোন সময় চার্জশিট দেব।’

জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটালি এলাকায় খুন হন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এদের সবাই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

আর ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের অভিজাত রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় যে ১৭ বিদেশি প্রাণ হারান তাদের সাত জনই ছিলেন জাপানি। তাদের সবাই ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে ঢাকায় এসেছিলেন।

এই মামলার পর সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জঙ্গি। আর হামলার মূল হোতা এবং প্রশিক্ষক হিসেবে হিসেবে সন্দেহভাজন চার জন নিহত হয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।

হলি আর্টিজানের ঘটনার জাইকা দ্রুত বিচার চেয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বলেছি, আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। এটা দ্রুততার সাথেই বিচার হবে। এবং সঠিক বিচারই হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছেন, বাংলাদেশ এবং জাপানের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। জাপান চায় এই বন্ধুত্ব ধারাবাহিক এবং আরও শক্তিশালী হবে। জাইকার যেসব প্রকল্পগুলো এখন চলমান রয়েছে এর সবগুলোই চলবে।’

জাইকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা যেসকল প্রদক্ষেপ নিয়েছি সে বিষয়ে তারা বলেছেন, আমরা দেখেছি তোমরা সুন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছো। এই ব্যবস্থা যেন ধারাবাহিক থাকে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বলেছি, আমরা জাইকার প্রকল্পগুলোর জন্য আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের ফোকাল পয়েন্ট রয়েছে, যেখানে পুলিশের একজন এডিশনাল ডিআইজি রয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, যেন জাইকার সকল প্রকল্প ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এটাও বলেছি, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে এসেছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

ঢাকাটাইমস/২৫মে/এমএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :