ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৮

প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৭, ২০:৪৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।  এতে দুই ইউপি সদস্যসহ আটজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণকালে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতদের মধ্যে চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য যুবলীগ নেতা মো. ইসমাইল হোসেন, মো. মহিউদ্দিন ও মো. সিরাজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু ছিদ্দিক ও গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. মানিকসহ অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে চরলরেন্স ইউনিয়নের ৩২৩ জেলের জন্য বরাদ্দ দ্বিতীয় পর্যায়ের চাল বিতরণ চলছিল। বরাদ্দ অনুযায়ী প্রত্যেক জেলের মাঝে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন মাস্টার ও ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক ২৮ থেকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এ সময় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল চাল ওজনে কম দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে চাল বিতরণে বাধা দিলে আবু ছিদ্দিক ও তার লোকজন তাকে (ইসমাইলকে) মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসমাইলের অনুসারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবু ছিদ্দিক, চেয়ারম্যানের ভাগ্নে মহিন উদ্দিন, সিরাজ, আনোয়ার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. মানিকসহ অন্তত সাতজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল জানান, চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য আবু ছিদ্দিক লোকজন দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করেন। এর আগেও তারা ভিজিএফের কার্ড বিতরণে অর্থ আদায় করলে তিনি এরও প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তারা তার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে তিনি জানান।

এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার দাবি করেন, চাল বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।

তিনি বলেন, ইউপি সদস্য ইসমাইল ও আবু ছিদ্দিক গত শনিবার (২০ মে) প্যানেল চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ইসমাইল পরাজিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে তিনি চাল বিতরণে বাধা দেন। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কমলনগর থানার উপপরিদর্শক মানিক বড়ুয়া জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/প্রতিনিধি/এলএ)