পাবনা-৫: বিএনপিতে আলোচনায় শিমুল, আ.লীগে আট জন

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৭, ১৪:৫৮ | আপডেট: ২৬ মে ২০১৭, ১৫:৪৫

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা থেকে

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে পাবনা-৫ (সদর) আসনে নির্বাচনে নড়েচড়ে বসেছেন ক্ষমতাসীন দলের আগ্রহী নেতারা। এলাকায় তাদের আনাগোনাও বেড়েছে। নির্বাচনী মাঠ গোছাতে এসব প্রার্থীরা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অন্তত আট আওয়ামী লীগ নেতা।

এর মধ্যে অনেকেই নিজেদের নামে পোস্টার ও বিলবোর্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ রাজনীতির মাঠে ময়দানে ঘুরে দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে সমর্থন চাইছেন।

পাবনা সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স। অনেক বড় নেতাকে ডিঙিয়ে গত নবম সংসদে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছিলেন। ওই আসনে তৎকালীন চারদলীয় জোটের শক্ত প্রার্থীর কারণে অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বিধান্বিত ছিলেন। তবে নৌকার জোয়ারে পাস করে গিয়েছিলেন যুবলীগ নেতা প্রিন্স।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত হতে থাকেন এই তরুণ নেতা। দশম সংসদ নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পেয়ে বিনা ভোটে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু এবার দলের ভেতর পড়তে হচ্ছে কঠিন চ্যালেঞ্জে। এ আসনে প্রিন্সকে চ্যালেঞ্জ করে মাঠে আছেন অর্ধডজনের বেশি প্রার্থী।

আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রিন্সকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সদর উপজেলার পর পর দুইবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহসম্পাদক খ ম হাসান কবির আরিফ, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমের ভায়রা সাইদুল হক চুন্নু, দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা ফজলুল হক মন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন।

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী দল। তবে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই সদর আসনে যোগ্য প্রার্থীতেই মনোনয়ন দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘পাবনায় আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নাই। এলাকার উন্নয়নে আওয়ামী লীগকেই আবার জনগণ ক্ষমতায় আনবে।’

বিএনপিতে আলোচনা এক জনকে ঘিরে

এই আসনে বিএনপির চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ২০০৮ সাল থেকেই এখানে নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের কারণে তিনি মনোনয়ন পাননি। তবে সুবহান যেহেতু আর নির্বাচন করতে পারছেন না, তাই বিএনপি নির্বাচনে গেলে এবার মনোনয়ন শিমুলই পাবেন বলে আশা করছেন তার সহযোগীরা।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে একক প্রার্থী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসই থাকবেন।’

ঢাকাটাইমস/২৬মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি