মাগুরা মহিলা কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৭, ১৭:৪৫

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহব্বত হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন কলেজের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী।

আজ শুক্রবার সকালে ১৮ জন আবাসিক ছাত্রী জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশ সুপার, ডিডি এনএসআই মাগুরা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এই লিখিত অভিযোগ জানান।

এতে অভিযোগ করা হয়, অধ্যাপক মহব্বত হোসেন অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদানের পর থেকে যখন-তখন আবাসিক হলের মেয়েদের কক্ষে ঢুকে পড়েন। তিনি ছাত্রীদের শরীরে হাত দিয়ে, আপত্তিকর ও যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন। তিনি ছাত্রীদের ‘ডার্লিং’ ‘লাভার’সহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেন এবং তার প্রাইভেট কারে চড়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।

লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষের এসব আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি ছাত্রীদের বিরুদ্ধে নানা হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ওই ছাত্রীদের তার কক্ষে আটকে রেখে এ বিষয়ে বাইরে কোনো রকম মুখ না খোলার জন্য ভয়ভীতি দেখান অধ্যক্ষ।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ মহব্বত হোসেন। তিনি দাবি করেন, তার শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কয়েকটি সিদ্ধান্তে কিছু শিক্ষকের কোচিং-বাণিজ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় তারা তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছেন।

সাংবাদিকদের কাছে অধ্যক্ষ বলেন, এ কলেজে আসার পর প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কলেজে নিয়মিত উপস্থিতি, নিয়মিত ক্লাস, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব পরিচালনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার কাজ তিনি শুরু করেছেন। এ জন্য কলেজের কিছু শিক্ষকের প্রাইভেট ব্যবসায় সমস্যা হয়। ওই শিক্ষকরাই তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের দিয়ে নানাভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

মাগুরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি বলেন,  ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি একজন সিনিয়র অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/মোআ)