সুন্দরবনে আবার আগুন

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৭, ১৯:২৩ | আপডেট: ২৬ মে ২০১৭, ২০:৪৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ির জিং নাংলি এলাকায় আগুন লেগেছে। সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়।

এরপর বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিটকে আগুন নেভানোর কাজে ডাকা হয়। বন বিভাগ আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলার দাবি করলেও ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যায় জানিয়েছে, তখনও আগুন জ্বলছিল বিভিন্ন জায়গায়। আগুন যেন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য দুই একর বনভূমিতে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে।

আগুন কীভাবে লেগেছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও জেলে ও মৌয়ালদের বিড়ি সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে বন কর্তৃপক্ষ।

বন বিভাগ এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদী জামানকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান এবং ঢাংমারী স্টেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তাদেরকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মোরেলগঞ্জ ইউনিটের টিম লিডার গোলাম মোস্তাফা জানান, বন কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে তারা ঘটনাস্থলে যান।

তারা আগুন নেভানোর কাজ করছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে ভোলা নদী তিন কিলোমিটার দূরে হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাতে না পড়তে পরে তার জন্য ফায়ার লাইন কাটা হচ্ছে।

২০১৬ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক চারবার আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২৭ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্পের সিকদারের ছিলায়, ১৩ এপ্রিল পঁচা কোরালিয়া বিলে, ১৮ এপ্রিল আবদুল্লাহর ছিলায় এবং সর্বশেষ ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে এক শ্রেণির মৌসুমী মৎস্য শিকারী সুন্দরবনের মিঠা পানির মাছের বিল তৈরি করার জন্য বনে আগুন দিয়ে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি/জেবি)