নিখোঁজের ছাব্বিশ দিনেও সন্ধান মেলেনি রাশেদের

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ মে ২০১৭, ২১:০৩

নিখোঁজের ছাব্বিশ দিন চলছে। কোথাও মেলেনি সন্ধান। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবখানেই ছুটে গেছেন পরিবারের সদস্যরা। হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। কেউ অপহরণ করেছে, নাকি তাকে কেউ মেরে ফেলেছে- সেই প্রশ্নে উত্তর মেলাতে পারছে না কেউ।

এদিকে সন্তানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে অশ্রুজলে বুক ভেজাচ্ছেন বাবা রেজাউল করিম ও মা রিনা বেগম। বাকরুদ্ধ হয়ে পথের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। কখন ঘরে ফিরবে ঘরের ছেলে।

চলতি মাসের ২ তারিখে বগুড়া শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ হয় রাশেদুন্নবী। বগুড়ার সাইক ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজির ছাত্র রাশেদুন্নবীর। রাশেদ ওই কলেজে ডিপ্লোমা ইন ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়। সে বগুড়া শহরের সূত্রারাপুর এমআর ছাত্রাবাসে থাকত। চলতি মাসের ২ তারিখে সে নিখোঁজ হয়। এরপর তাকে সন্ধান করে কোথাও পাওয়া যায়নি। ফলে পরিবারের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সন্তানকে ফিরে পেতে থানা, পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কাজ হয়নি।

রাশেদ গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উদয়খালি গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। সে স্থানীয় একটি হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর বগুড়ায় চলে আসে। তারপর ভর্তি হয় সাইক ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজিতে।

রাশেদের বড় ভাই রায়হান জানান, সে শহরের সূত্রাপুরে এমআর ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে থাকত। নিখোঁজের সময়ও সে ছাত্রাবাসেই অবস্থান করছিল। রাশেদের মেছমেটদের বরাত দিয়ে রায়হান জানান, চলতি মাসের ২ তারিখে সকাল থেকে হঠাৎ করেই তাকে কেউ মেছ দেখতে পায়নি। সহপাঠীরা আশপাশের মেছসহ বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিয়ে তাকে কোথাও পায়নি। রাশেদের পরিবারের লোজদের সাথে মেছের কারো পরিচয় না থাকায় তারা যোগাযোগ করতে পারেনি।

এদিকে রাশেদের পরিবাদের লোকজন নিখোঁজের দুই একদিন পরে তার ফোনে ফোন দিলে বন্ধ পায়। তখনো পরিবারের কেউ জানে না সে নিখোঁজ। আরো দুই তিন দিন মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত রাশেদের ফোন আর খোলেনি। পরে বড় ভাই রায়হান তার খোঁজ নিতে কলেজে যান। কলেজ কর্তৃপক্ষ তার কোন সন্ধান দিতে পারেনি। পরে তারা রাশেদের মেছে খোঁজ নিতে এসে জানতে পারে সে নিখোঁজ।

বগুড়া সদর থানায় নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রায়হান। ডায়েরির সূত্রধরেই পুলিশ তার অবস্থান সম্পর্কে জানান চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে তার কোন তথ্য নেই।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন জানান, মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রাশেদের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে। ফোনের কললিস্ট ইতোমধ্যেই তোলা হয়েছে। নিখোঁজের সময় তাকে কে কে ফোন দিয়েছে অথবা তার ফোন থেকে কোথায় কোথায় কথা বলা হয়েছে সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই তার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :