বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা: প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে কন্যাসহ বাবা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. ফারুককে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। ফারুক শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে। এ নিয়ে এ মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
র্যাব-১-এর উপ-পরিচালক মো. মহিউল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, ২৯ এপ্রিল ঘটনার পর ফারুক গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কাপাসিয়ায় র্যাব-১ সদস্যরা অভিযান চালালে টের পেয়ে সে আটরশি পীরের মাজারে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে পীরের সাথে পরিচয় ও সখ্যতা হলে তার সাথে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসলামনগর এলাকায় চলে যায়। সেখানে সে রড মিস্ত্রির সহকারী (নির্মাণ শ্রমিকের) কাজ নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ইসলামনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারুককে আটক করা হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ঢাকাটাইমসকে জানান, অন্য দুইজনের মধ্যে শুক্রবার ভোররাতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ঝাঝড় গ্রাম থেকে ওই মামলার তিন নম্বর আসামি বোরহান উদ্দিন (৩৫) এবং ২৯ এপ্রিল শ্রীপুর থেকে ওই মামলার সাত নম্বর আসামি শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউপি’র এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দুইজনই গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশুহাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে পালিত মেয়ে আয়েশা আক্তারসহ বাবা হযরত আলী আত্মহত্যা করেন। মেয়েকে শ্লীলতাহানি, গরু চুরি যাওয়া ও প্রতিবেশীদের হামলার হুমকির বিচার না পাওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তাদের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামে। আত্মহত্যার পরদিন নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম ওই তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে কমলাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/প্রতিনিধি/জেবি)