ভৈরবে গাঁজাসহ দুই মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করা হয় । এসময় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভাই আলমগীর হোসেনের একটি মাইক্রোবাস (নাম্বার ঢাকা মেট্রো-চ-১১-৭৮৪৩) আটক করা হয়। এই গাড়ি দিয়ে গাঁজা বহন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা এলাকার মাইক্রোবাস চালক শাহীন (৩৫) ও আখাউড়া এলাকার রাহেলা বেগম ( ২৩)।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভাইয়ের গাড়িতে মাদক বহন ও গাড়িটি আটকের পর ভৈরবে পুলিশের মধ্য তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী গাড়িচালক শাহীন ও রাহেলা বেগম সকালে ১৫ কেজি গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে রওনা হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টায় ভৈরব বাসস্ট্যান্ড পৌঁছলে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে গাড়িটি আটক করে। এসময় গাড়িটি চেক করে ওই মাদক পাওয়া যায়। ঘটনার সময় জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িচালক পুলিশকে জানায়, মাইক্রোবাসটির মালিক বিজয়নগর এলাকার মো. আলমগীর এবং তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার ছোট ভাই। চালকের কথা শুনে ভৈরব থানা পুলিশ বিব্রতবোধ করে।
পরে মাদক ব্যবসায়ীসহ গাড়িটি থানায় নিয়ে মালিক আলমগীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুলিশের সাথে স্বীকার করেন গাড়িটি তার। তবে তিনি ভৈরব থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানান, চালক তার অনুমতি ছাড়া এসব মাদক বহন করেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা থানায় ছুটে আসেন। পরে বেলা ২টায় এ ব্যাপারে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। জব্দ করা হয় গাড়িটি।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গাড়িটির মালিক মো. আলমগীর এবং তার বড়ভাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ১৫ কেজি গাঁজাসহ চালক ও একজন মহিলা মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক বহন করার ঘটনাটি গাড়ির মালিক আলমগীর অবগত নন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান ওসি।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন