১১ মাসের শিশুকে আসামি করায় ক্ষমা চাইলেন এসআই

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ মে ২০১৭, ১৮:১১ | প্রকাশিত : ২৮ মে ২০১৭, ১৮:০৬

মৃত ব্যক্তি এবং ১১ মাসের এক শিশুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মারুফুল ইসলাম (সাময়িক বরখাস্ত) ভুলের জন্য আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

রবিবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

তবে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ বিষয়ে এদিন কোনো আদেশ দেননি। আগামী ৩০ মে মামলার বাদীর জবাব দাখিলের দিন ধার্য থাকায় ওইদিন একই সঙ্গে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার চুরি ও মারামারির ওই মামলায় গত ৯ মে তদন্তকারী এই কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করে আদালত। পরে তিনি অসুস্থ থাকায় দুটি তারিখে সময় গ্রহণ করে রবিবার ভুল স্বীকার করে জবাব দাখিল করলেন।

লিখিত জবাবে এসআই মারুফুল বলেন, মামলাটি দায়েরে পর তদন্তভার গ্রহণ করে দেখা যায় মামলার বাদী আরিফুর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর জাকির হোসেন এবং সোহেল রানা নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকে। আরিফুর রহমান, রুবেল ও মামুনুর রশীদ ছাড়া সব আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এজাহারনামীয় যেসব আসামির বাড়ি অন্য থানায় তাদের ঠিকানা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অনুসন্ধান স্লিপ পাঠিয়ে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বাদীর ঠিকানা ১৬৩ মধ্য পাইক পাড়ায়, আরিফুরের ঠিকানা ১৭৮ মধ্য পাইকপাড়ায়। রুবেলের ঠিকানা ১৭৩ মধ্য পাইকপাড়ায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বাদী একজন বয়স্ক লোক। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এটা বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। তদন্তকালে আরিফ ও রুবেলের খোঁজ করা সত্ত্বেও তারা পলাতক থাকায় তাদের ব্যাপারে এরূপ কোনো তথ্য বাদী বা সাক্ষীরা দেননি। যে কারণে বিভ্রান্তিমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রশিক্ষণ শেষ করে সবেমাত্র কর্মজীবন শুরু করেছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা করে চাকরিতে বহাল থাকার সুযোগ দিলে মেধা, দক্ষতা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে দেশের শৃঙ্খলা ও জনগণের সেবা করতে গতিশীল ও সোচ্চার হবো।

প্রসঙ্গত, চার্জশিটের ওই শিশু রুবেল (১১ মাস) রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ৩৩৮ উত্তর পীরেরবাগের আবুল কাশেমের ছেলে। আবুল কাশের নিজেও ওই মামলার আসামি।

অন্যদিকে চার্জশিটের মৃত ব্যক্তি আরিফুর রহমান রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ১৭৮/বি মধ্য পাইকড়ার মৃত মাহবুব উল্লাহর ছেলে।

২০১৬ সালের ২৬ জুন বাদী মিরপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। যার নম্বর ৪৬(৬)১৬। ধারা- দণ্ডবিধির ১৪৩/৪৪৭/৪২৭/৩২৩/৩৭৯ ও ৫০৬। মামলায় মোট ২৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারের ২৩ জন জ্ঞাত আসামির মধ্যে শিশু রুবেলের বাবার নাম ২ নম্বরে, মৃত ব্যক্তির নাম ১২ নম্বরে এবং শিশু রুবেলের নাম ২০ নম্বরে দেয়া আছে। এজাহারে শিশু রুবেলের নামের সঙ্গে পিতার নাম আব্দুল কাশেম এবং বয়স ৩০ উল্লেখ আছে। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলাম তদন্ত শেষে চার্জশিটেও একই ক্রমিক নম্বরের তাদের আসামি হিসেবে রাখেন। এজাহারের জ্ঞাত ২৩ জনের বিরুদ্ধেই তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ২০ মার্চ আদালত ওই অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন এবং অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো শিশু রুবেল এবং মৃত আরিফুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ৩০ এপ্রিল শিশুকে আদালতে হাজির করেন তার পিতা।

বাদীর মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২৬ জুন ১৬৩, মধ্য পাইকপাড়ার বাদীর বাড়িতে আসামিরা অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাড়ি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। বাদী ও তার পরিবারকে মারধর করে এবং মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :