পাবনায় আজব মাদ্রাসা

প্রকাশ | ২৯ মে ২০১৭, ০৮:৩৫

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, ঢাকাটাইমস

ছয় বছর ধরে মাদ্রাসার কোনো কার্যক্রম নেই, নেই কোনো শিক্ষার্থী। তবু শিক্ষক আছেন তিনজন, যারা নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে এমন মাদ্রাসার খোঁজ মিলেছে।

স্থানীয়রা জানান, এক যুগ ধরে মাদ্রাসাঘরও ছিল না। সরকারিকরণের আশায় গত বছর একটি চারচালা ঘর তোলা হয়।

প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামে একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা চালু হয়। পরে একই মাঠে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করা হয়। শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদান না করায় মাদ্রাসা থেকে একে একে সব ছাত্রছাত্রী চলে যায়। একপর্যায় মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২-১৩ বছর আগে ঝড়ে মাদ্রাসাঘরটি বিধ্বস্ত হয়। তখন থেকে মাদ্রাসাটি শুধুই কাগজে-কলমে ছিল। এক যুগ ধরে এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ শুরু হলে মাদ্রাসার প্রধান মৌলভী শাহজাহান আলী তদবির শুরু করেন। সরকারি হওয়ার আশায় নতুন করে একটি ঘর তোলেন। কিন্তু সেই ঘর এখন গবাদিপশু ও তাদের খড় রাখার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদ্রাসার হেড মৌলভী কাগজে-কলমে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উপস্থিতি দেখিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেতন তুলে আসছেন। তিনি ভুয়া তালিকা জমা দিয়ে প্রতি বছর নতুন বইও আনেন।

এ ব্যাপারে মৌলভী শাহজাহান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে এ ব্যাপারে কোনো খবর প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমির আলী জানান, এ মাদ্রাসার বেতন হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। প্রতারণা করে বেতন তুললে তা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে।

ঢাকাটাইমস/২৯মে/কেআই/ডব্লিউবি