পাবনা-২: আ.লীগে সক্রিয় সাত, বিএনপিতে তিন
পাবনার অন্যান্য এলাকার মতো সুজানগর-বেড়া (পাবনা-২) আসনেও সম্ভাব্য আগ্রহী প্রার্থরিা আগেভাগেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। পোস্টার, বিলবোর্ড দিয়ে জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ময়দানে ঘুরে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে সমর্থন চাইছেন।
ভোটের এই আগাম হাওয়ায় এখানে আওয়ামী লীগের সাতজন এবং বিএনপির তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের ভাই খন্দকার আজিজুল হক আরজু। তবে আগামী একাদশ নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়া সহজ হবে না।
আওয়ামী লীগের এ আসনে অন্য যারা প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা হলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক সচিব মীর্জা আব্দুল জলিল, সাবেক সংসদ সদস্য তফিজ মাস্টারের ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ কবির, যুবলীগের
সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির রানা, সাবেক সচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মতিন ও পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহাব।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বর্তমান সাংসদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অন্য পাঁচ প্রার্থীর মধ্যেই একজন মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন সময় এসব নেতা দলীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও এলাকার লোকজনের মাঝে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহিম লাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, এলাকায় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হবে।
প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের সৎ ও যোগ্য হতে হবে। যিনি জনগণের পাশে থাকছেন সব সময় এবং দলের নেতাকর্মী ও দলীয় কর্মসূচিতে সব সময় কাজ করছেন তাকেই মনোনয়ন দেবে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিএনপির আলোচনা তিনজনকে ঘিরে
এই আসনে নির্বাচনী হাওয়ার গুঞ্জনে তিনজনের নাম আসছে ঘুরেফিরে। সাবেক সাংসদ সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপি নেতা আব্দুল হালীম সাজ্জাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের নাম শোনা যাচ্ছে বেশি।
তবে সাধারণ মানুষের ভাষ্য, বিএনপির কোনো দলীয় কর্মসূচি পালন করা হয় না। এবং এসব নেতাকে মাঠেও দেখা যায় না কখনো। নির্বাচনের আগে তারা এলাকায় এসে প্রচারণায় ব্যস্ত থাকেন।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, সব সময় দলের সঙ্গে যিনি থাকেন এবং জনগণ ও দলীয় কর্মসূচি পালন করে দলের জন্য কাজ করছেন তার নামই কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৯মে/মোআ)