হাতকড়া পরিয়ে জাবি ছাত্রের চিকিৎসা, ওসিকে তলব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আশুলিয়া থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসিকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৩১ মে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে সোমবার এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
“হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড” এ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করে। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতাল শয্যার সাথে তার একহাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি। অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হাতকড়া পরানো পুলিশ রেগুলেশন, বেঙ্গল এর ৩৩০ (এ) বিধানের লঙ্ঘন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে আশুলিয়া থানার ওসিকে তলব করেছে আদালত। পাশাপাশি রুলও জারি হয়েছে। রুলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’
রুলের বিবাদীরা হলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসি।
গত শুক্রবার ভোর পাঁচটায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলনকারী। পরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। এঘটনায় আহত হয় অনেকে। পরে অবশ্য ৪২ শিক্ষার্থীর জামিনও হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৯মে/এমএবি/ডব্লিউবি)