টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সবধরনের নৌযান কূলে ফিরতে শুরু করেছে।

সোমবার সকালে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-এ পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে সবাইকে সর্তক থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে টেকনাফ উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকিংয়ে সাগরে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ও মাছ ধরতে যাওয়া সবধরনের নৌযানকে কূলে ফিরতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলের লোকজনকে স্ব স্ব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে বিশেষ করে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম মাথায় বেড়িবাঁধ না থাকায় ওই দ্বীপের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ বাঁধের জন্য একনেকে ১০৬ কোটি বরাদ্দ হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ফলে গত পাঁচ বছর ধরে ওই এলাকার জনগোষ্ঠী মানবেতার জীবন যাপন করছে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, এ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারেনি অনেক ব্যবসায়ী।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার স্টেশনের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে যেসব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার রযেছে সবগুলো কূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপকূলের লোকজনকে সর্তক এবং আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ইউএনও বলেন, উপজেলা সব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/জেবি)