হাসিনার ভিয়েনা সফর, প্রবাসী আ.লীগ নেতাদের যত নালিশ

ইউরোপ ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মে ২০১৭, ১৭:৫৯

সর্ব ইউরোপিয়ান আ:লীগের দুই শীর্ষ নেতার দ্বৈত নীতির কারণে ইউরোপে প্রায় এক যুগ ধরে ইউরোপে আওয়ামী লীগের অচলাবস্থা চলছে। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় সভাপতি অনীল দাশগুপ্ত এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ গণিকেই দূষছেন তৃণমূলের নেতারা।

ইউরোপের নেতারা বিভিন্ন সময় সর্ব ইউরোপিয়ান আ:লীগের কমিটি ভেঙে দিতে হাই কমান্ডে নালিশ করলেও কাজে দেয়নি। অবশেষে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছেই দীর্ঘদিনের ক্ষোভের কথা নেতাকর্মীরা তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অস্ট্রিয়া সফরকে কেন্দ্র করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী ভিয়েনা গেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সর্ব ইউরোপিয়ান আ:লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গনির কমিটি বাণিজ্যের কথা দলীয় প্রধানের কাছে জানাবেন। বিভিন্ন দেশে একাধিক কমিটি ও কোন্দলের জন্য তাকেই দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা।

তারা বলেছেন, ইউরোপে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক থাকার পরও কোন্দল গ্রুপিংয়ে দিশেহারা অবস্থা। দল গোছাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করে বরং ইউরোপের কতিপয় নেতাদের নিয়ে সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি বিভিন্ন ধরনের তদবির বাণিজ্য করতে কদিন পরপরই বাংলাদেশে চলে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে সর্ব ইউরোপিয়ান আ:লীগের প্রধান অনীল দাশ গুপ্তকে নিয়েও অনেক অভিযোগ ইউরোপের নেতাদের। তারা বলেছেন, ইউরোপে আওয়ামী লীগের বেহাল অবস্থার দায় অনীল দাশকেই নিতে হবে। তিনি আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়নি। বয়সের দোহাই দিয়ে কার্যত তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। দলীয় এবং জাতীয় কোন অনুষ্ঠানে তাকে বারবার দাওয়াত দিয়েও পাওয়া যায় না।

ইউরোপের এই দুই নেতার প্রতি তৃণমূলের আরো একটি ক্ষোভ রয়েছে। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে শতাধিক নেতাকর্মীসহ সভাপতি অনীল দাশগুপ্ত বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। ইউরোপের নেতারা বিমানবন্দরে তাকে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করেন। কাউন্সিলের পর দিন সন্ধ্যায় ইউরোপের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে অনীল দাস গুপ্ত গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে একান্ত সাক্ষাত করেন। তারপর প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও ইউরোপে আওয়ামী লীগে কোনো উন্নতি হয়নি।

এদিকে ব্যবসায়িক কাজে আগেই থেকেই বাংলাদেশে থাকা সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি তার অনুসারীদের নিয়ে কাউন্সিলে যোগ দিলেও সর্ব ইউরোপিয়ান আ:লীগের পক্ষে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের দুই নেতা কাউন্সিলে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু ইউরোপের কোনো নেতা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি। তারা বলেন, ইউরোপের বিতর্কিত এই দুই শীর্ষ নেতার যথেচ্ছাচারিতায় ইউরোপে আওয়ামী লীগের বেহাল অবস্থা। তাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে ইউরোপ থেকে কেউ বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি। এদিকে শেখ হাসিনার ভিয়েনা সফরকে কেন্দ্র করে সর্ব ইউরোপিয়ান আ:লীগের দুই শীর্ষ নেতা তাদের নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে শোডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে শতাধিক নেতাকর্মী ভিয়েনায় হোটেল ইম্পেরিয়াল ও এর আশে পাশের হোটেলগুলোতে উঠেছেন। শেখ হাসিনার সাথে আলাদাভাবে সাক্ষাতের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতারা নামের তালিকা দিয়েছেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সফররত কর্মকর্তারা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।

নিরাপত্তার কারণে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী বাংলাদেশি সাংবাদিকরা ছাড়া অন্য কাউকেই ধারে কাছে যেতে দেয়া হবে না বলে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/সিকে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :