সৌদিতে তিন স্বজন হারিয়ে নির্বাক শাম্মী আক্তার
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। মা, ছেলে ও স্বামী হারিয়ে শাম্মী আক্তারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ। এখন তিনি শোকে নির্বাক।
রবিবার সৌদি আরব সময় ভোররাত সাড়ে তিনটায় জেদ্দা বিমানবন্দরের অদূরে বাকুয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ওই একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে নারিতা নামে দুই বছরের এক কন্যা শিশু। তাকে সৌদি আরবের একটি সরকারি হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। নিহতরা হলেন কুমিল্লার কোটবাড়ি সংলগ্ন বাংলাবাজার গুনানন্দী এলাকার দুলা মিয়ার ছেলে তফাজ্জল হোসেন( ৩৮), তার ১২ বছরের ছেলে, স্থানীয় ইবনে তাইমিয়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার হোসেন এবং তফাজ্জল হোসেনের শাশুড়ি কোটবাড়ির মাঝিগাছা এলাকার অব. সেনা করপোরাল মো. আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৬২)। আহতরা হলেন দুর্ঘটনায় নিহত তফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার ( ৩৫), তার দুই কন্যা সন্তান সামান্তা আক্তার মীম ( ১২) ও নারিতা আক্তার (২)।
নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওমরাহ হজ পালনের লক্ষ্যে কুমিল্লা থেকে ঢাকা বিমান বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন শাহনাজ আক্তার ও তার দুই নাতি-নাতনি শাহরিয়ার হোসেন এবং সামান্তা আক্তার। রবিবার ভোররাত তিনটার সময় তারা সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসময় তাদেরকে বাসায় এগিয়ে নিতে আসেন নিহত শাহনাজ আক্তারের জামাতা সৌদি আরবে কর্মরত তফাজ্জল ও কন্যা শাম্মী। সাথে আসেন তফাজ্জল-শাম্মী দম্পতির দুই বছরের কন্যা সন্তান নারিতা। বিমানবন্দর থেকে তাদের গাড়ি বাকুয়ায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়।
গতকাল দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনার খবর এলাকায় পৌঁছালে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত শাহনাজ ও তার নাতি শাহরিয়ারের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা ছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন