হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজশিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি

প্রকাশ | ২৯ মে ২০১৭, ২০:৫২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হাসপাতালের (আইসিইইউ) ভর্তি এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামকে স্বজনরা গাজীপুরের ক্যাথারসিস হাসপাতালে আইসিইউতে দিনরাত পালাক্রমে প্রহরা দিচ্ছেন।

গত ২৫ মে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসাইর এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয় বেসরকারি কলেজ শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় মামলা হলেও গত ৫ দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রূপগঞ্জ উপজেলার খৈসাইর এলাকার মৃত সাইজুদ্দিন মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে একই এলাকার মোস্তাফা মিয়ার ছেলে এসটি আব্দুস সাত্তারের সাথে তাদের পূর্বশত্রুতা চলছে। জমি সংক্রান্ত সেই বিরোধের জের ধরে গত ২৫ মে তার ছেলে উত্তরায় অবস্থিত আমেরিকান কলেজ নামে বেসরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে স্থানীয় বীরহাটাব এলাকায় একা পেয়ে সন্ত্রাসী সাত্তারসহ ও তার লোকজন এলোপাথারি কুপিয়ে তার ছেলে জাহিদুল ইসলামকে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুরের ক্যাথারসিস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে আইসিইইউতে ভর্তি রয়েছেন জাইদুল ইসলাম।

এদিকে এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাত্তার ও তার লোকজন হাসপাতালে গিয়েই তার ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে ভিত হয়ে জাহিদুল ইসলামকে তারা হাসপাতালে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন স্বজনরা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ত্রাসী এসটি সাত্তার হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ রূপগঞ্জ থানার অন্তত ৫-৭টি মামলায় রয়েছে। সে কয়েকমাস আগে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছিল সে। ওই মামলায় জামিনে এসে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে সন্ত্রাসী সাত্তার।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসটি আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, এসটি সাত্তার পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সমস্যা হলো তার বাড়ি থানা এলাকার পাশের গাজীপুর সীমান্ত এলাকায়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সে অন্যত্র সরে পরে। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/এলএ)