ভেতরে ভেতরে দুই দলই ‘সিরিয়াস’

দেলোয়ার হোসেন, ওভাল, লন্ডন থেকে
| আপডেট : ৩০ মে ২০১৭, ১৮:২৬ | প্রকাশিত : ২৯ মে ২০১৭, ২২:৫৬

১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করবে বাংলাদেশ। এর আগে মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে শেষ প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে নিজেদের প্রস্তুত করে নেবে টাইগাররা। প্র্যাকটিস ম্যাচ নিয়ে খেলোয়াড়, দর্শক, মিডিয়াকর্মী কারোর মধ্যেই খুব বেশি আগ্রহ থাকে না, এটাই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু মঙ্গলবারের ম্যাচটা ব্যতিক্রম বলেই মনে হচ্ছে।

ভারতের বিপক্ষে না হয়ে ম্যাচটা যদি অন্য কোনো দলের বিপক্ষে হতো, তাহলে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতো না। ভারত বলেই খেলোয়াড়, দর্শক মিডিয়াকর্মী সবার কাছে ম্যাচটা আর ‘সাধারণ’ থাকছে না।

গত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেটে বিশেষ করে সীমিত ওভারে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের ক্রিকেটীয় উত্তেজনা শুরু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে। ওই ম্যাচে আম্পায়ারদের গোটাদুয়েক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চড়া মূল্য দিতে হয় মাশরাফির দলকে। অনেকেই এই হারের পেছনে তখনকার আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসনের কালো হাত দেখতে পান। এ্ নিয়ে কড়া প্রতিবাদও করেছিলেন তখনকার আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ ফ ম মুস্তফা কামাল।

ওই বছরই দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ভারতকে মনে রাখার মতো জবাব দিয়েছিল মাশরাফির দল। এরপর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে নাটকীয় হার। যা এখনো ক্ষত হয়ে আছে মুশফিকদের হ্নদয়ে। সব মিলে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই যেন উত্তেজনা। মঙ্গলবারের প্রাকটিস ম্যাচে সেই উত্তেজনার পুরোটা যে থাকবে না সত্য কিন্তু অন্তত ৮০ শতাংশ যে থাকবে এটাও মিথ্যা নয়।

ভারত তো বাংলাদেশের কাছে কিছুতেই হারতে চাইবে না। হারলে একদিকে যেমন আত্মসম্মানে ধাক্কা লাগবে, অন্যদিকে মূল্য টুর্নামেন্টে শুরুর আগে মানসিক দিক দিয়ে চাপে পড়ে যাবে তারা। তাই কোহলিরা সিরিয়াস হয়েই মাঠে নামবে। বাংলাদেশের কাছে হার মেনে নেবেন না কোহলিরা।

বাংলাদেশ যে সিরিয়াসলি নিয়েছে এবং জয়ের জন্য মাঠে নামবে তাতো তামিম ইকবালের কথাতেই বোঝা গেল। যদিও তিনি কৌশলী উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ওভালে দুপুরে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শেষে তামিম বললেন, ‘একদিন পরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হচ্ছে। ওই দিনই আমাদের ম্যাচ। তাই এ ম্যাচে ভালো করলে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। মূল টুর্নামেন্টে ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে যেতে পারব। সেই অর্থে এ ম্যাচ এক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরাও চাইবে জিততে। আমাদেরও চেষ্টা থকবে। আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, দেখার আছে এ ম্যাচ থেকে কে কি নিয়ে যেতে পারে মূল টুর্নামেন্টে।’

ভারতের বিপক্ষে বারবার জ্বলে ওঠেন তামিম। ভারত ম্যাচ মানেই তামিমের ব্যাটে বারুদ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে তামিমের ব্যাটেই ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ধোনির দলের বিরুদ্ধে মনে রাখার মতো আরও অনেকগুলো ইনিংসই খেলেছেন এ ওপেনার। মঙ্গলবার তবে কী আরেকবার জ্বলে ওঠার পালা?

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/ডিএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :