সরেজমিন

উড়াল সড়কে স্বস্তি

শেখ সাইফ
 | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০১৭, ১০:৪০

রাজধানী ঢাকার মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। এর একটি অংশ হাতিরঝিলের মোড় থেকে চলে গেছে কারওয়ান বাজারের দিকে। অনেক দিন ধরে তৈরি হতে থাকা ফ্লাইওভারটিতে অবশেষে যান চলাচল শুরু হয়েছে। রমনা-বেইলি রোড থেকে গাড়িগুলো এখন খুব দ্রুত হোটেল সোনারগাঁওর সামনে দিয়ে কারওয়ান বাজার হয়ে যে যার গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।

কাজ চলা পর্যন্ত ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছেও কম নয়। কিন্তু সুখের আশায় সেই বিড়ম্বনা মেনেছে হাসিমুখে। ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল থেকে সোনারগাঁও যাওয়ার অংশটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইওভারের এই ৮৫০ মিটার অংশটি ১৭ মে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এই লুপটি দিয়ে কেবল একমুখী চলাচল করা যাবে।

এই অংশটি প্রথমে হাতিরঝিল থেকে এফডিসি গেট পর্যন্ত করার কথা ছিল। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত বর্ধিত করার পরিকল্পনা করা হয়। এরপর সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্তই করা হয়। উড়াল সড়কের রমনা (মগবাজার) প্রান্ত থেকে ওঠে হাতিরঝিল বরাবর এসে এই লুপ দিয়ে সোনারগাঁও হোটেলের কাছে নামা যাবে। উড়াল সড়কের পাশাপাশি এর নিচের সড়কও পিচঢালাই করা হয়েছে।

২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার’ নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। গত বছরের ৩০ মার্চ এই উড়াল সড়কের সাতরাস্তা-হলি ফ্যামিলি অংশ উদ্বোধন হয়। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির সর্বমোট দৈর্ঘ ৮.৭ কিলোমিটার।

কাকরাইল মোড় থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী মাযহারুল ইসলাম বলেন, ‘আগে মগবাজার আসতে অনেক সময় লেগে যেত। জ্যামে বসে থাকতে হতো অনেক সময়। এখন কোনো বাধাবিঘ্ন ছাড়াই খুব অল্প সময়ে পৌঁছতে পারছি।’

মৎস্য ভবন ও কাকরাইলের দিক থেকে আসা গাড়ি খুব সহজেই এখন মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের লুপ দিয়ে সোনারগাঁওর সামনে দিয়ে কারওয়ান বাজার হয়ে যে যার গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। আগে এফডিসির সামনের সড়ক দিয়ে যেতে গেলে প্রায় ট্রেনের সিগন্যালে পড়তে হতো। সে ঝামেলা থেকে এখন মুক্ত হতে পেরেছে নগরবাসী।

এ নিয়ে কথা হয় মাইক্রোবাস চালক মো. আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে অনেক ঘুরে ফার্মগেটে যেতে হতো। এখন ফ্লাইওভারটি হওয়ায় খুব দ্রুতই যেতে পারছি।’

বিআরটিসি বাসে আসা যাত্রী মো. আশিক বলেন, ‘আমি থাকি ফার্মগেট। আমার অফিস পল্টন। প্রতিদিন শাহবাগ ঘুরে যেতে অনেক সময় লেগে যেত। এখন কোনো জ্যাম ছাড়াই সোনারগাঁওর ফ্লাইওভার দিয়ে সহজে পৌঁছতে পারছি।’

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অনেকটাই অবসান ঘটেছে নগরবাসীর দুর্ভোগ। যেখানে প্রতিদিন জ্যামে অনেক সময় পার করতে হয়, সেখানে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের সোনারগাঁও একমুখী লুপ ফ্লাইওভারটি খুব সহজ করে দিয়েছে জনজীবন। প্রতিদিন এখান থেকে যাতায়াত করছে অনেক পরিবহন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে নগরবাসী।

ঢাকাটাইমস/৩০মে/এসএস/টিএমএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

নির্বাচিত খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচিত খবর এর সর্বশেষ

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন মাদ্রাসায় পড়ুয়া মাজিদুল হক

মুন্সীগঞ্জে ১০ কোটি টাকার পানি শোধনাগার কাজেই আসছে না

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে সৌর বিদ্যুৎ দিচ্ছে ‘সোলার ইলেক্ট্রো’

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাসহ ৯ দাবি বাস্তবায়ন চায় শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ

শিশু নির্যাতন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং র‌্যাগিং প্রতিরোধ নীতিমালা বাস্তবায়নের আহ্বান

শহরের ব্যস্তজীবনে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ড. রাশেদা রওনকের আলোচনায় আমন্ত্রণ

২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত

২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দা‌ড়ি-গোঁফ গজাচ্ছে জান্না‌তির মুখে, প‌রিবর্তন হয়েছে কণ্ঠস্বর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :