‘মোরা’ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে কলাপাড়াবাসী
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লক্ষাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে মোরা। এতে ছয়জন প্রাণ হারান। তবে মোরার প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল ছিল থমথমে। থমকে থাকা কালো মেঘ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মনে করিয়ে দিচ্ছিল সেই সুপার সাইক্লোন সিডরের কথা। যে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
আশ্রয় নিয়েছিল বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রসহ পাশাপাশি স্কুল, কলেজের মিলনায়তন এবং এলাকার পাকা-আধাপাকা বাড়িগুলোতে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা এলাকায় সাইরেন বাজিয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেয়ায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মানুষের আতঙ্ক বেড়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণের জান-মাল রক্ষার্থে মেডিকেল টিম গঠন, শুকনা খাবার সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে আঘাত হানার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এ উপকূলে আঘাত হানেনি।
এর ফলে নির্ঘুম রাতকাটানো মানুষরা স্বস্তি পেয়েছেন। বিশেষ করে ওয়াপদা বেড়িবাঁেধর বাইরের এবং নদী সংলগ্ন শতশত পরিবার পানি আতঙ্কে রাত জেগে ছিল।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় সবচেয়ে বেশি আতংক ছিল ওই সব ইউনিয়নের লোকজন।
ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা মো.বশির মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, শতশত মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার পর বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ধারণা ছিল ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়বে মানুষ।
মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন জানান, এলাকার মানুষ মোরা আতংকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। তাদের অনেকে রাস্তায় এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবি এম সাদিকুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রশাসনের সবধরনের প্রস্তুতি ছিলো।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিস কক্ষে কন্ট্রোল রুম চালু ছিলো। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সিপিপি’র সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল বলে তিনি সংাবাদিকদের জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন