নগরকান্দা গণহত্যা দিবস কাল
কাল পহেলা জুন নগরকান্দা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ফরিদপুরের নগরকান্দায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় কিছু রাজাকার আলবদরদের সহযোগিতায় মহিলা ও শিশুসহ ৩৮ জন নিরীহ বাঙালিকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবু সাইদ খানের সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুর’ বইয়ে তিনি উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মে উপজেলার চাঁদহাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় পাকিস্তানি সেনারা। তখন মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র ঢাল সড়কি বল্লম নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এসে দাঁড়ায় এলাকার নিরীহ বাঙালি।
উপজেলার দিঘোলিয়া বিলের মধ্যে দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী এ যুদ্ধে ২৬ জন হানাদার সেনাকে বল্লম দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করতে সক্ষম হয় বীর বাঙালিরা।
ফরিদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. খলিলুর রহমান জানান, নগরকান্দার এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে হানাদার বাহিনী পহেলা জুন ফরিদপুর থেকে আরো সেনা নিয়ে উপজেলার কোদালিয়া, ছোট শ্রীবরদী, বাস্তপুট্টি, কানফরদী, রঘুরদিয়া, বাগাট, ঘোনাপাড়া, পুরাপাড়া, ঈশ্বরদী, ছোটপাইককান্দি, বড় পাইককান্দি, শেখর কান্দিসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় কোদালিয়া গ্রামের মিয়া বাড়ির পাশে মহিলা, শিশুসহ ৩৮ জন নিরীহ বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে সেই হত্যাযজ্ঞ স্থানে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ওই স্থানে কোদালিয়া শহীদনগর নামে একটি নতুন ইউনিয়নের নামকরণ করা হয় সে দিন থেকে।
প্রতিবছর নগরকান্দায় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার সর্বস্থরের মানুষ পহেলা জুন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন