নরসিংদীতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
বিনা মামলা ও বিনা ওয়ারেন্টে আসাদুজ্জামান নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে থানায় নিয়ে পিটিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জেলার মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার শিক্ষক আসাদুজ্জামান নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
আদালত সাদা স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার করার জন্য মনোহরদী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।
মনোহরদী উপজেলার লাখপুর ফাজিল মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানার দেলপাড়া গ্রামে আতাউর রহমানের নিকট থেকে ব্যবসার প্রয়োজনে ৩ লাখ টাকা ধার করে আনে। এর মধ্যে কিছুদিন পূর্বে এক লাখ টাকা পরিশোধ করে দেয়। বাকি ২ লাখ টাকা জমি বিক্রি করে পরিশোধ করার কথা থাকলেও জমি বিক্রি করতে না পারায় টাকা আসাদুজ্জামান ২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
গত ১ মে পাওনাদার মো. আতাউর রহমান অজ্ঞাতনামা কিছু লোক নিয়ে দেনাদার শিক্ষক আসাদুজ্জামানের পীরপুর গ্রামের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে অজ্ঞাতনামা লোকজন নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে আসাদুজ্জামানকে মনোহরদী থানায় যেতে বলে। আসাদুজ্জামান সরল বিশ্বাসে তাদের সাথে গাড়িতে উঠলে অজ্ঞাতানামা লোকজন তাকে গাড়িতে বসিয়ে মারধর করে এবং পরে মনোহরদী থানায় নিয়ে যায়। সেখানে মনোহরদী থানার এসআই আবুল কালামের কক্ষে নিয়ে গেলে এসআই আবুল কালাম আসাদুজ্জামানকে জিজ্ঞেস করে আতাউর রহমান তার কাছে কত টাকা পাওনা।
আসাদুজ্জামান দুই লাখ টাকা পাওনা থাকার কথা স্বীকার করলে এসআই আবুল কালাম তাৎক্ষণিকভাবে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। শিক্ষক আসাদুজ্জামান তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পরিশোধে অপারগতা জানালে এসআই কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি মারপিট করেন। দীর্ঘক্ষণ তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে সাতটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প তার সামনে দিয়ে স্বাক্ষর করতে বলে। শিক্ষক আসাদুজ্জামান সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে দারোগা কালাম তাকে হুমকি দিয়ে প্রথমে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরে তার মুখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পাওনা মর্মে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি করিয়ে তা মোবাইলে রেকডিং করে এবং ছবি উঠিয়ে রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর শিক্ষক আসাদুজ্জামান বুধবার দারোগা আবুল কালাম ও পাওনাদার মো. আতাউর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন