‘আদেশ ছাড়াই’ আদালত থেকে মুক্ত সাবেক কমিশনার

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ জুন ২০১৭, ২০:০০

মানবপাচারের একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করা আসামি ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হারুন চৌধুরীকে আদালত।

বৃহস্পতিবার এ আসামিসহ চারজন ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সকাল ১১টার দিকে ওইআত্মসমর্পণের ওপর শুনানি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন জানান।

দুপুরে আদালতের নথিতে দেখা যায় বিচারক আসামি হারুন চৌধুরীর স্ত্রী মিসেস হারুন, তার মেয়ে এবং মেয়েজামাই লিটনকে জামিন দিয়েছেন। আর হারুন চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুরের বিষয়ে কোনো আদেশ নেই। শুধু জামিনের আবেদনে তার নাম কেটে দেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কে এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাফুজুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘হারুন চৌধুরীসহ চার আসামির আত্মসমর্পণের শুনানি প্রকাশ্য আদালতে গ্রহণ করেন। কোনো আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত হয় তাকে জামিন দেবেন না হয় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠাবেন। আদালত শুনানি গ্রহণের পর খাস কামরায় বসে আসামিকে ছেড়ে দিতে পারেন না।’

এ বিষয়ে আদালতের নারী ও শিশু জিআরও শাখার জিআরও মো. মোস্তফা বলেন, হারুন চৌধুরীসহ চার আসামির আত্মসমর্পণের শুনানি হয়। তবে আদেশের সময় আত্মসমর্পণের আবেদনে হারুন চৌধুরীর নাম কেটে দেয়া পাওয়া গেছে।

আদালত সূত্র জানায়, হারুন চৌধুরীসহ চার আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদনের শুনানি উভয়পক্ষের (বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর) উপস্থিতিতে হয়। পরে বিচারক খাস কামরায় বসে আদেশ দেয়ার সময় হারুন চৌধুরীকে জামিন দিতে পারবেন না জানালে আইনজীবীরা হারুন চৌধুরীর আত্মসমর্পণ প্রত্যাহার করে নেন।

প্রসঙ্গত, এ মামলায় এর আগে আসামি হারুন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশীদ আলম। গ্রেপ্তার করে সিআইডি অফিসে নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন অফিসের পরামর্শ মতো এ আসামিকে শুধু মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন। পরে এ বিষয়ে বাদীপক্ষ আদালতে অভিযোগ করলে গত ২২ মে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তা খুরশীদ আলমকে আদালতে তলব করেন। এরপর গত ২৫ মে সিএমএম আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশে তিনি আসামি হারুন চৌধুরী অসুস্থ হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে জানান। ওইদিন আদালতের ক্ষমতা নিজ হাতে তুলে অভিযোগে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের আদেশ দিয়েছিলেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে আম্বিয়া খাতুন নামের এক নারীর মাধ্যমে সাবেক কমিশনার হারুন চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেন কিশোরীর বাবা। মাসে দুই হাজার টাকা বেতন দেয়ার কথা ছিল। কাজে যোগ দেয়ার আট থেকে নয় মাস পর ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরীর বাবা মেয়েকে ঈদে বাড়ি পাঠানোর জন্য হারুন ও তাঁর স্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। তবে হারুনের মেয়ের স্বামী লিটন তাঁকে বলে দেন, কিশোরীটির ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। পরে কিশোরীর বাবা ঢাকায় আসামিদের বাসায় এসে তাঁর মেয়ের খবর জানতে চান। তখন তাঁকে আটকে রেখে তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কিশোরীর বাবা হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেয়ায় তিনি ওই বছর ২৭ অক্টোবর আদালতে মানব পাচার আইনের ৭/৮ ধারায় একটি নালিশি মামলা করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে আম্বিয়া খাতুন, হারুন চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ও মেয়ে স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে ওই বছর ৮ নভেম্বর মামলা নেয় হাজারিবাগ থানা। যার হাজারিবাগ থানার মামলা নং- ১০(১১)১৬। তবে পুলিশ গত সাত মাসের তদন্তের পরও ভিকটিমের কোনো সন্ধান করতে পারেননি।

(ঢাকাটাইমস/০১জুন/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :