সিআইডি প্রধান থেকে আইজিপি হয়েছেন যাঁরা
একসময় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে দু-একটি দপ্তর ঘুরে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হয়েছেন। ১৯৪৭ থেকে এ পর্যন্ত সিআইডি প্রধান হয়েছেন ৬৪ জন। এর মধ্যে নয়জন হয়েছেন পুলিশ প্রধান।
বিভিন্ন সময় সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব পালন করা উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) মধ্যে একমাত্র এ এস এম শাহজাহান পরে আইজিপি হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও হয়েছিলেন।
এ এস এম শাহজাহানের পর দীর্ঘ সময় সিআইডি প্রধানের মধ্য থেকে কেউ আইজিপি হতে পারেননি। তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম মুরশিদ সেই বিরতি ভেঙেছেন। পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন চার মাস। ১৯৯১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। পরে তিনি আইজিপি হয়েছিলেন।
একই বছরের ৩১ জুন থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডি প্রধান ছিলেন এম এনামুল হক। তিনি তখন অতিরিক্ত আইজিপি। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে আইজিপি হয়েছিলেন। সাবেক আইজিপি গোলাম রহমানও একসময় সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এক বছরের বেশি সময় তিনি ওই পদে ছিলেন। দায়িত্ব নিয়েছিলেন ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি। দায়িত্ব শেষ হয় ১৯৯৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি।
তার পরের চার বছরের মধ্যে যারা সিআইডি প্রধান ছিলেন তাদের কেউ পদোন্নতি পাননি। অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবেই চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। ১৯৯৭ সালের ১৭ নভেম্বর দায়িত্ব নেয়া তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন ২০০০ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত। তিনি প্রায় তিন বছর পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির প্রধান ছিলেন। পরে তিনি আইজিপি হয়েছিলেন।
সাবেক আইজিপি আনোয়ারুল ইকবাল সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন চার মাসের মতো। ২০০১ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত তিনি সিআইডি প্রধান ছিলেন। পরে তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও হয়েছিলেন।
২০০২ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডি প্রধান হয়েছিলেন আশরাফুল হুদা। তিনি তখন অতিরিক্ত আইজিপি। তার দায়িত্ব শেষ হয় ২০০৩ সালের ২৮ মে। পরে তিনি পুলিশ প্রধান হয়েছিলেন।
সাবেক পুলিশ প্রধান খোদা বখস চৌধুরীও একসময় সিআইডি প্রধান ছিলেন। ২০০৬ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি। নূর মোহাম্মদ সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব পান ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি। তিনি ওই পদে ছিলেন মাত্র ১৪ দিন। পরে তিনি আইজিপি হয়েছিলেন। পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয় তাকে।
(ঢাকাটাইমস/০২জুন/এইচএফ/জেবি)
মন্তব্য করুন