নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রের মধ্যে আছে ৫৪ গ্রেনেডও

প্রকাশ | ০২ জুন ২০১৭, ১২:২৪ | আপডেট: ০২ জুন ২০১৭, ১২:৩৬

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫৪টি গ্রেনেডও উদ্ধার করা হয়েছে। রাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত ৬২টি এসএমজি, দুটি রকেট লঞ্চার, ৫১টি ম্যাগজিন, পাঁচটি পিস্তল, দুটি ওয়াকিটকি, ডেটোনেটর, বিপুল সংখ্যক গুলি ও বোমা তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আরও অস্ত্রের সন্ধানে এখনো অভিযান চলছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যৌথ অভিযান চালিয়ে শরিফুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। তার বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর উইনিয়নের বাগলাগ্রামে। বাবার নাম মোসলেহ উদ্দিন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এসএমজি উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানান, একটি মাদক মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যৌথ অভিযান চালিয়ে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রাতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নিজের কাছে আরও অস্ত্র আছে বলে শরিফুল পুলিশকে জানায়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত একটার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ রূপগঞ্জে অভিযান চালাতে যায়। প্রথমে পূর্বাচল উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরের লুসিটি থেকে বালুর নিচে রাখা দুটি এসএমজি উদ্ধার করা হয়। ভেক্যু দিয়ে খুঁড়ে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করা হয়।

তার দেয়া তথ্যমতে উপশহরের পাঁচ নম্বর সেক্টরে পানিতে রাখা আটটি ব্যাগ থেকে আরও ৬০টি এসএমজি, দুটি রকেট লঞ্চার, ৫১টি ম্যাগজিন, পাঁচটি পিস্তল, দুটি ওয়াকিটকি, ডেটোনেটর, বিপুল সংখ্যক গুলি ও বোমা তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। ঝোপের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে এসব অস্ত্র পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। বেলা পৌনে ১২টায় শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরও অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ।

এর আগে সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএনসি) ফারুক হোসেন ৬২টি এম সিক্সটিন রাইফেল, দুটি রকেট লঞ্চার, গ্রেনেড, ডেটোনেটর ও বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি জানান, ‘এখনো আমাদের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’

কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্র মজুদ রেখেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। তবে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং বড় ধরনের নাশকতা চালাতে কোনো অপরাধী চক্র এই বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করেছে।

ঢাকাটাইমস/২জুন/প্রতিনিধি/এমআর