মেডিকেলে ভর্তি: নম্বর কাটা যাবে আগের বছরের পরীক্ষার্থীদের

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০১৭, ২১:৪৩ | আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭, ২১:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকা করার সময় আগের বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কাটা হবে। এছাড়া আগের বছর সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়া যেসব শিক্ষার্থী নতুন করে পরীক্ষা দেবেন তাদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে তাদের সাড়ে ৭ নম্বর কাটা হবে।

নতুনরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য কম সময় পাওয়ায় এবং মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পরও অনেকে ভালো মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার আশায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তিসংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের কোটা আগের মতো ৫০ ভাগ বহাল থাকবে। এছাড়া আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিডিএসের কোর্স পাঁচ বছর মেয়াদি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বর্তমানে এমসিকিউ পদ্ধতিতে মেডিকেল-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হয় ১০০ নম্বরের। এছাড়া এইচএসসি ও এসএসসির জিপিএর জন্য নির্ধারিত ২০০ নম্বর (১২৫ ও ৭৫) থেকে প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে মেধাতালিকা তৈরি হয়।

বৈঠকে মেডিকেল কলেজে শিক্ষকসংকট দূর করতে চিকিৎসকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘসূত্রতা কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, যারা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়, তারা সারা বছর কোচিং করে প্রস্তুতি নেয়। এর বিপরীতে যারা নতুন তারা মাত্র দুই মাস সময় পায়। নতুনদেরই ইনসেনটিভ দেওয়ার জন্যই এমন কথা বলা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে অনেকে অন্য মেডিকেলে গিয়ে সিট নষ্ট করে। এটা নিরুৎসাহিত করতে তাদের সাড়ে সাত নম্বর কাটার কথা বলা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ হিসেবে নতুন নামকরণের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন বলে সভায় জানানো হয়েছে।

সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউর উপাচার্য কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিসিপিএস সভাপতি কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএমডিসি সভাপতি শহীদুল্লাহ, বিএমএ মহাসচিব ইহতেশামুল হক, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/৪জুন/এমআর