কালীগঞ্জে পটল চাষে সাফল্য

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০১৭, ১০:৩০

রাহেবুল ইসলাম, কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট)

লালমনিরহাট কালীগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে মাচার ওপর পটল আবাদ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের কৃষক শ্রী ক্ষেত্রমহন বর্মা। পটল সবজি হিসেবে যেমন পুষ্টিকর তেমনি সুস্বাধু। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পটলের ফলন বেশি হয়ে থাকে। বাজারে দামও ভাল থাকায় মাচা তৈরি করে এখন পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক।

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের কৃষক ক্ষেত্রমহন বর্মা চলতি  মৌসুমে ৬৮ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে মাচা তৈরি করে পটলের আবাদ করেন। আশপাশের জমিতে অন্য কৃষকেরা যেখানে ধানের আবাদ করেছেন, সেখানে ক্ষেত্রমহন বর্মা পটল আবাদ করে প্রথম বছরেই সফল হয়েছেন।

পটলচাষি ক্ষেত্রমহন বর্মা জানান, জমি তৈরি থেকে শুরু করে বীজ, জৈব সার, বালাইনাশক, সেক্স ফেরোমন ট্রাপ, বিশ টপ, পোটলের মাচাসহ সব মিলিয়ে ৬৮ শতাংশ জমিতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পটলের লতা রোপনের তিন মাসের মধ্যে পটল তোলা শুরু হয় এবং সারাবছর পটল পাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়। তবে শীতকালে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

এ পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ জমি থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার পটল বিক্রি হয়েছে। সামনে আরও ৩০-৪০ হাজার টাকা আয়ের আশা করছেন এই কৃষক। বাড়ির নারী ও শিশুরাও মাচায় পটল চাষে সহযোগিতা করে থাকেন বলে জানান,ক্ষেত্রমহন বর্মার স্ত্রী। পটল ক্ষেতের আগাছা দমন থেকে শুরু করে সেচ দেয়া, মাচা তৈরিসহ সকল কাজে স্বামীকে সহযোগিতা করেন তিনি। তাদের এই পটল চাষে সাফল্য দেখে অনেক কৃষকই আগ্রাহ প্রকাশ করেছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ। তাই এগুলো মাটির উপর কিংবা খড় বিছিয়ে চাষ করলে গায়ে সাদা সাদা ফ্যাকাসে বা হলুদ বর্ণের হয়ে পড়ে। এতে পটলের বাজার মূল্য কমে যায়। তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উল্লম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। এছাড়া নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে যাতে কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে পারে। চলতি খরিব মৌসুমে প্রায় ১শ হেক্টর জমিতে পটল আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/৫জুন/প্রতিনিধি/এলএ)