‘টেলিকম দ্রুত পরিবর্তনশীল খাত’

আসাদুজ্জামান
ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ জুন ২০১৭, ১৬:৩০ | প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০১৭, ১৪:৪৭

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফেসবুকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন্স উইং বিটিআরসি নামে একটি গ্রুপ পরিচালনা করছে। এই গ্রুপের সদস্যরা বেশিরভাগই গণমাধ্যমের কর্মী। গ্রুপটি বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য পরিবেশন করছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বিটিআরসির যোগাযোগের অন্যতম উৎস হয়েছে এই গ্রুপটি। এই গ্রুপটি নিয়ে কথা হয় বিটিআরসির মি‌ডিয়া অ্যান্ড ক‌মিউনি‌কেশন উইংয়ের সি‌নিয়র অ্যা‌সিসট্যান্ট ডি‌রেক্টর মো. জা‌কির হোসেন খানের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আসাদুজ্জামান।

গ্রুপটি চালুর প্রেক্ষাপট জানতে চাই

আমরা এই গ্রুপটি চালু করি ২০১২ সালে। এটি চালু করার লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীদের এখানে সম্পৃক্ত করা। যাতে তারা বিটিআরসির সব তথ্য এখান থেকে পেতে পারেন। আর ফেসবুককে বেছে নেয়ার কারণ হলো এই একটি মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীরা হালনাগাদ থাকতে ফেসবুকে অহরহ ঢু মারেন। আমরা যেহেতু টেলিকম খাতের রেগুলেটর, তাই টেলিকম খাতের টোটাল একটি চিত্র তুলে ধরতে এই গ্রুপটি খোলা হয়।

গ্রুপটি টেলিকম খাতের সাংবাদিকদের প্লাটফর্ম হিসেবেও কি কাজ করছে?

এটি টেলিকম খাতের সাংবাদিকদের প্লাটফর্ম হিসেবেও কাজ কারছে। এই গ্রুপটি খোলার অন্যতম কারণ হলো, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, টেলিকম সাংবাদিকদের একটি প্লাটফর্মে আনা। যাতে করে তারা এক জায়গা থেকে এখাতের সব তথ্য জানতে পারে। এক অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।

গ্রুপটির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাই

আমি বিটিআরসির কোনো তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করতে চাইলে এই গ্রুপে তা পোস্ট করে দিই। তাতে বেশির ভাগ সাংবাদিকের কাছেই তথ্যটি পৌঁছে যায়। এতে করে ভালো কভারেজও পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের কিছু জানার থাকলে তারারা সেটি জানতে চেয়ে গ্রুপে পোস্ট দেন। এতে তথ্যের আদান-প্রদান হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটিও এখানে পোস্ট করা হয়। এতে এখাতে কে কী সংবাদ করলো সেটিও অন্যরা জানতে পারছে। এতে সাংবাদিকদেরই লাভ বেশি হচ্ছে। তারা আপডেট থাকতে পারছেন।

আপনি এই গ্রুপটি কীভাবে তদারকি করেন?

বিটিআরসিতে আমি ছাড়াও মিডিয়া উইংয়ে আরও কর্মকর্তা আছেন। তারাও আমাকে গ্রুপটি পরিচালনা করতে সহায়তা করেন। কেউ প্রেস রিলিজ ড্রাফট করে দেন, কেউবা ছবি তুলে আমাকে সহায়তা করেন। এগুলো গ্রুপে পোস্ট দেয়া হয়। আমরা ফেসবুকে প্রতিদিন ১২-১৪ ঘণ্টা সময় দিই, তাই আমি নতুন কোনো তথ্য পেলেই তা গ্রুপটিতে পোস্ট করে সাংবাদিকদের জানিয়ে দিই।

এটি কি ক্লোজড গ্রুপ, নাকি ওপেন গ্রুপ? যে কেউ কি এই গ্রুপে যুক্ত হতে পারবেন?

হ্যাঁ, এটি ক্লোজড গ্রুপ। তবে যে কেউ এই গ্রুপে যুক্ত হতে পারবেন না। এই গ্রুপে বিটিআরসির মিডিয়া উইং, টেলিকম খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ ও বিভিন্ন জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তিরাই এখানে যু্ক্ত হতে পারবেন। আগ্রহী ব্যক্তির ফেসবুক আইডি যাচাই বাছাই শেষে গ্রুপে যোগ করা হয়।

গ্রুপের সদস্য সংখ্যা এখন কতজন?

বিটিআরসির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিশেন্স উইংয়ের এই গ্রুপটিতে ৬১০ জন সদস্য আছেন।

গ্রুপের সদস্যরা কি এখানে পোস্ট করতে পারেন?

হ্যাঁম পারেন। তবে সরাসরি পোস্ট করতে পারেন না। কেউ পোস্ট করতে চাইলে প্রথমে গ্রুপের অ্যাডমিন যাচাই করে দেখেন পোস্টটি খাত সংশ্লিষ্ট কী না। এটি যাচাই করে দেখার জন্যে পোস্টটি আমরা প্রথম পড়ে দেখি। যেহেতু টেলিকম খাত একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল খাত, তাই সাংবাদিকরা কোনো পোস্ট দিতে চাইলে নিউজ অ্যানালাইসিস করে দেখি, আসলে সে ওই নিউজটার মাধ্যমে কী বলতে চায়, নিউজটা যেন এই গ্রুপের সদস্যদের জন্য দৃষ্টিকটূ মনে না হয়। যদি দেখি এটি পোস্ট দেয়ার যোগ্য না হয় তবে এটিকে ফিল্টার করে দিই। যদি মনে করে উপযুক্ত তবে সেটা পোস্ট দেয়া হয়।

এই মিডিয়া পেজের মাধ্যমে কতটা ফিডব্যাক পেয়েছেন?

এই মিডিয়া পেজের মাধ্যমে আমরা ভালোই ফিডব্যাক পেয়েছি। কোনো একটি অনুষ্ঠানের সময়সূচি সাংবাদিকের মেইল করে জানিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপেও পোস্ট করে দিচ্ছি। সাংবাদিকরা ফেসবুকের মাধ্যমে দ্রুতই তথ্যটি জেনে নিতে পারছেন। এছাড়াও সর্বশেষ প্রযুক্তি খবর জানাতেও গ্রুপটিতে পোস্ট দেয়া হয়। এগুলো নিয়ে পরে সাংবাদিকরা নিউজও করছেন। সব দিক বিচারে আমি মনে করে এই গ্রুপটিতে আমরা ভালোই ফিডব্যাক পাচ্ছি।

এই গ্রুপটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। যেহেতু টেলিকম দ্রুত পরিবর্তনশীল খাত। তাই সময়ই আমাদের বলে দেবে কী করতে হবে। এছাড়াও আমরা আশা রাখছি দেশে যতগুলো এই ধরনের গ্রুপ আছে তার মধ্যে এই গ্রুপটিকে সবচেয়ে সক্রিয় ও ফলপ্রসূ করতে চাই। এটি মিডিয়াবান্ধব পেজ হিসেবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

ঢাকাটাইমসকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

আপনাকে ও ঢাকাটাইমসকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/এজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা