বৃষ্টিতে রূপগঞ্জে অস্ত্র উদ্ধার বিঘ্নিত

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০১৭, ১৯:০৫

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৃষ্টির কারণে সেচ কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাব্বি মিয়া।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পূর্বাচল উপশহর প্রকল্পের ৫নং ক্যানেল এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে রাজউকের এই ক্যানেলটি থেকে সেচের মাধ্যমে আরো অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আরো ১০টি সেচযন্ত্র লাগিয়ে দ্রুত সেচ কাজ শেষ করে এখানকার অস্ত্র উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা যাবে। এ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে। অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় যেহেতু পাঁচজন আসামিকে আটক করা হয়েছে, অন্য আসামিদের খুঁজে বের করে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। 

সম্প্রতি শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের উপজেলা এলাকার পরপর তিনটি লাশ ও বাসুন্দা এলাকায় অত্যাধুনিক আরো পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধারের পর জেলা আইনশৃঙখলার অবনতি হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা সার্বিক আইনশৃঙখলতা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তি পূর্ণ রয়েছে। 

এছাড়া সম্প্রতি এ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, এর ফলে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে এগুচ্ছে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে সহায়তার পরামর্শ দেন তিনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সারোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাইদুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা। 

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ৫নং সেক্টর ও পূর্বাচলের ব্লু সিটি হাউজিং এলাকাতে ৬২টি সাব মেশিন গান (এসএমজি), দূরবীণ যুক্ত দুটি রকেট লাঞ্চার, ৪৪টি ম্যাগজিন, ৭ পয়েন্ট ৬২ বোর ও নাইন এমএম ৫টি পিস্তল, দুটি ওয়াকিটকি, ৪২ হ্যান্ড গ্রেনেড ও ৫বস্তা বিপুল সংখ্যক গুলি, ডেটোনেটর, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

শনিবার বিকাল ৬টায় উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের বাসন্দা (পাইশকা) এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে আরো ৫টি এসএমজি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকেই আটক করা হয়েছে। বাকি ১ জন পলাতক রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/প্রতিনিধি/ইএস)