অতি সাধারণ এক সাংবাদিকের কথা-২৬
শফিক রেহমানের মতো চিরকালের আধুনিক মানুষ এরশাদ মজুমদারের সাপ্তাহিক রিপোর্টার-এ কাজ করার সুবাদে মোজাম্মেল ভাই, খোন্দকার মোজাম্মেল হক, সাপ্তাহিক সুগন্ধায় অসাধারণ সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রধান সহায়ক হয়েছে লোক বাছাই করার ক্ষেত্রে তার নিপুণ দক্ষতা। সাপ্তাহিক সুগন্ধায় তার টিমে আমাকে নিয়েছিলেন চিফ রিপোর্টার হিসেবে। মিডিয়ায় উদার টিম লিডার হিসেবে উদারতার মাফকাঠিতে মোজাম্মেল ভাই আনপ্যারালাল, এটি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। তিনি বছরখানেক সাপ্তাহিক সুগন্ধায় নেতৃত্ব দিয়েছেন; সুগন্ধার পরিচিতি সৃষ্টি হয় আসলে সেই সময়ই।
মোজাম্মেল ভাই সাপ্তাহিত সুগন্ধাকে ইর্ষণীয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মাত্র ছয় মাসের মধ্যে। ১৯৮৮ সালের বাস্তবতায় যে কাজ মোটেই সহজ ছিল না। তার নেতৃত্বে এক বছরের মধ্যে সাপ্তাহিত সুগন্ধা আগের বছরের মরন দশা থেকে কেবল জেগেই ওঠেনি, প্রচার সংখ্যা সব সাপ্তাহিককে ছাড়িয়েও গিয়েছিল। তবে ইমেজের মানদণ্ডে তখনো অনেক পিছিয়ে ছিল সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের তুলনায়। উচ্চ শ্রেণির কোনো কোনো পাঠকের মধ্যে সুগন্ধার বিষয়ে এক রকমের নাক ছিটকানো প্রবণতা ছিল। এতে আমরা এক ধরনের অশ্বস্তিতে ভুগতাম। এ বিষয় নিয়ে প্রতিটি সাপ্তাহিক মিটিংয়ে কথা হতো। আমরা মৃদু হলেও অসন্তোষ প্রকাশ করতাম! কিন্তু মোজাম্মেল ভাই কোনোই প্রতিক্রিয়া দেখাতেন না; কেবল মন দিয়ে শুনতেন। কোনো মন্তব্য করতেন না তিনি। অনেক পরে, প্রায় আট মাসের মাথায়; একদিন বললেন, যায়যায়দিন অথবা তার উপরের মান অনুসরণ করলে একই পাঠক শ্রেণি নিয়ে অসম প্রতিযোগিতা করতে হবে। এর চেয়ে একটু নিচে থেকে নতুন পাঠক ধরা অধিক নিরাপদ, বিশেষ করে সুগন্ধার মতো স্বল্প পুঁজির পত্রিকার জন্য; এতে রিস্ক কম। তিনি এও বললেন, যায়যায়দিনের উদাহরণ টেনে যারা সুগন্ধার সমালোচনা করেন তারা আসলে কোনো পত্রিকারই পাঠক নন। তার ব্যাখ্যা মনোপূত না হলেও সঠিক বলেই মেনে নিলাম টিম লিডারের প্রতি অগাধ আস্থা রাখার মজ্জাগত প্রবণতা থেকে। তবে এক বছরের মধ্যেই মোজাম্মেল ভাই এমন একটি কথা বললেন যাতে তার ওপর আর আস্থা রাখা সম্ভব হয়নি।
বছরখানেকের মাথায় এক সাপ্তাহিক মিটিং-এ মোজাম্মেল ভাইকে বেশ অন্যমনস্ক মনে হচ্ছিল। সাধারণত মিটিং লম্বা হলেও সেদিন মিটিং ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; গল্প শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যাবার মতো শেষ হলো। মিটিং শেষে বললেন, ‘আলম রায়হান আপনে থাকেন।’ অন্যেরা চলে যাবার পর অনেকটা উদাসভাবে বললেন, ‘শোনেন. কতকাল আর অন্যের ছেলে মানুষ করবো।’ তার কথার শানে নুজুল আমার মাথায় ঠিক ধরছিল না। একটু পজ দিয়ে তিনি আবার বললেন, ‘মোয়াজ্জেম সাহেবের সাথে বেশি দূর হাঁটা যাবে না; নিজেদেরই একটা কিছু করতে হবে।’ আমি সতর্ক হলাম। বললাম, ছেড়ে দিতে চাইলে মোয়াজ্জেম সাহেবকে বলেন। আমার কথা শুনে মোজাম্মেল ভাই আঁতকে ওঠার মতো করে বললেন, ‘পাগল! হঠাৎ ছাড়তে হবে, আমরা নতুন পত্রিকা বের করবো; পত্রিকা রেডি।’
মোজাম্মেল ভাইর এ কথা শুনে তার প্রতি আমার পাহাড়সম শ্রদ্ধা টিলায় পরিণত হলো; তবে তখনো এবং এখনো ধূলায় লুটায়নি। অধিকতর বিনয়ের সঙ্গে বললাম, মোজাম্মেল ভাই তা কি করে হয়; একটা লোক আমাদের ওপর এতো বিশ্বাস করলো; আর তাকে আমরা মাঝপথে হঠাৎ বিপদে ফেলে চলে যাবো! আমার পক্ষে এটা মেনে নেয়া কঠিন! মোজাম্মেল ভাই কোনো কথা বললেন না। তার চেহারা কেবল কঠিন হলো। কিন্তু এ ছিল কয়েক মুহূর্ত মাত্র। এরপর যথারীতি হাসিমুখে বললেন, ‘আচ্ছা; ঠিক আছে।’ কিন্তু আমি ঠিকই বুঝলাম, আসলে কোনো কিছুই ঠিক নাই! পরদিন এর প্রমাণও পেলাম হাতেহাতে। মোজাম্মেল ভাই তার রুমে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘আলম রায়হান, শোনেন; মালিক চাচ্ছেন না আপনি সুগন্ধায় থাকেন।’ আমি ঠিকই বুঝলাম আসলে কে চাচ্ছে না। কিন্তু এ নিয়ে মোজাম্মেল ভাইর সঙ্গে আমি কোনো বাহাসে যাইনি; মালিক মোয়াজ্জেম সাহেবের সঙ্গেও দেখা করিনি। ৫৬/৫৭ মতিঝিলের শরীফ ম্যানশনের সুগন্ধা অফিস থেকে সোজা চলে গেলাম খিলগাঁও গোড়ানের বাসায়। অসময়ে বাসায় দেখে আমার স্ত্রী তো খুবই খুশি। আগের দিন একই সাথে সোফাসেট ও চেস্টড্রফ কেনার কারণে সে এমনিতেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছিল। এর উপর সারপ্রাইজ দেবার মতো ব্যস্ত স্বামীর বাসায় আগমন তার আনন্দ যে কোন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু সে তো আর জানে না, তার স্বামী বেকার হয়ে গোধূলী বেলায় বাসায় এসেছে; নববধূর আকষর্ণে নয়!
বেকার হবার সংবাদ আমি স্ত্রীকে দিইনি। কারণ বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে এ রকম ঘটনা যেকোনো স্ত্রীর জন্য চরম দুঃসংবাদ। ঘটনা গোপন রেখে খেয়েদেয়ে লম্বা ঘুমের রাজ্যে প্রবেশ করলাম সন্ধ্যার একটু পরে। চাইলেই ঘুমাবার ইর্ষণীয় ক্ষমতা এখনো আমার আছে। ১৯৮৯ সালে এ ক্ষমতা ছিল আরও বেশি। এদিকে তখনো আনন্দে ভাসছে বধূ আমার! কিন্তু বিষাদের ছোঁয়া লাগলো পরদিন। আমি যখন কেবলই ঘুমাই; সকাল গড়িয়ে দুপুর, তারপর বিকাল ছুইছুই। স্ত্রী বললো ‘কী ব্যাপার, অফিসে যাবা না?’ আমি বললাম ‘রাখো তোমার অফিস, আগে ঘুমাইয়া লই।’ আমার স্ত্রীকে আগেই বলা আছে, আগুন লাগলেও আমাকে ঘুম থেকে তোলা যাবে না। তবু সেদিন কেন যে ডাকলো তা ঠিক বুঝলাম না। সে কি খারাপ একটা কিছুর আলামত আঁচ করতে পেরেছিল! স্ত্রীরা অমঙ্গলের আলামত সহজে টের পায়! কুম্ভকর্ণের কাঁচা ঘুম থেকে তুলে আমাকে প্রিয়তমা স্ত্রী যখন অফিসে যাবার তাড়া দিচ্ছিল তখন শরীফ ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ঘটছিল নানান নাটকীয়তা। সে সময় এমন জিনিসও নাকি কিঞ্চিৎ ব্যবহৃত হয়েছে যা নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গাত্মক গভীর অর্থের একটি কবিতা আছে।
পাওয়ার সেক্টরে সে সময় বড় ব্যবসায়ী সুগন্ধার মালিক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হুসাইন সব সময়ই মোজাম্মেল ভাইর ওপর সতর্ক নজর রাখতেন। কোনো কিছুই তার নজরের বাইরে ছিল না। আমাকে বাদ দেয়ার পরই তিনি বুঝেছিলেন, সদলবলে মোজাম্মেল ভাইর হঠাৎ সুগন্ধা ত্যাগ সময়ের ব্যাপার মাত্র। কাজেই অতিরিক্ত সজাগ হলেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় অবাঞ্চিত তিক্ততার মধ্য দিয়ে সুগন্ধা থেকে মোজাম্মেল ভাইর বিদায় পর্ব যখন ঘটে ঘটনা তখন আমি গোড়ানের বাসায় শেষ বিকালের গভীর নিন্দ্রায় বরীন্দ্রনাথের গানের ভাষায় ‘গভীরও ঘুমে ছিলেমও মগন।’ যে ঘুম প্রিয়তমা স্ত্রী কার্যকরভাবে ভাঙাতে পারেননি সেই ঘুম ভাঙালো মিলন; মোয়াজ্জেম সাহেবর অফিস সহকারী।
মিলন বললো ‘স্যার আপনাকে আমার সঙ্গে অফিসে যেতে বলছে।’ মিলনের কথা শুনে আমার স্ত্রী তাড়া দিলেন বের হবার জন্য, ততক্ষণে যা বোঝার তা সে সম্ভবত বেশ খানিকটা বুঝে ফেলেছে! তার ভাবার সময় ছিল না, সকালের পান্তা এবং বাসায় থেকেও দুপুরের খাবার- কোনো কিছুই আমার হয়নি। এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় মিলন বিরক্ত হয়ে বললো ‘স্যার আপনে তো দুপুরে খান না, ক্যান খামাখা সময় নষ্ট করেন।’ স্ত্রী মানবিক হলেন; বললেন, ‘না মিলন; না খেয়ে যাওয়া ঠিক হবে না, সকালেও খায় নায়; তা ছাড়া তোমাকেও তো কিছু দেয়া হয়নি।’
বাসা থেকে অল্প সময়েরে মধ্যে মিলনের সঙ্গে বেরিয়ে গেলাম। বিশ মিনিটের মধ্যে পৌঁছালাম আগের দিন চাকরি যাওয়া সাপ্তাহিক সুগন্ধা অফিস শরীফ ম্যানশনে। আমাকে দেখেই অনেকটা ছুটে এসে মোয়াজ্জেম সাহেব জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, ‘আমি সবই জানি; আলম রায়হান আপনে পত্রিকা চালান।’ বুঝলাম, মালিকরাও কখনো কখনো বড়ই অসহায় হয়ে পড়েন! কিন্তু পত্রিকা চালাবো কিভাবে! লোকজন শুধু নয়; সব কাগজপত্র এবং পুরনো ট্রেসিংও নিয়ে গেছেন মোজাম্মেল ভাই। তা দিয়ে সূর্যোদয় নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বাজারেও দিয়েছেন। ইতিপূর্বে কম্পোজ হওয়া ম্যাটার আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চুক্তিতে কাজ করানো প্রতিষ্ঠানে গেলাম। কিন্তু সেখানে আর এক নাটক! আমার অতি স্নেহের আজমল হক হেলাল, ফটোগ্রাফার থেকে যাকে আমি রিপোর্টার বানিয়েছিলাম, আবেগে খুবই আপ্লুত। সেভেনআপের বোতল ভেঙে তার সে এক রণমূর্তি। তবে শেষতক ট্রেসিং আনা সম্ভব হয়েছিল এবং নানান জোড়াতালি দিয়ে নির্ধারিত সিডিউলের একদিন পর সাপ্তাহিক সুগন্ধা মার্কেটে গেল।
মোজাম্মেল ভাই দলবল নিয়ে চলে গেলেও একমাত্র থেকে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বন্ধু মাহফুজুর রহমান খোকন; ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি হয়েছিল। খোকন, এখন বিএসএসএ-এ আছে; তবে শেষতক সে আমার সঙ্গে থাকেনি। সপ্তাহ দুই পর মোজাম্মেল ভাইর টিমে যোগ দিয়েছিল। নোয়াখালীর আঞ্চলিক কানেকশন বিবেচনায় খোকন সুগন্ধায় থাকবে না, মোজাম্মেল ভাইর সঙ্গে যাবে- এ আশংকার বিষয়ে মোয়াজ্জেম সাহেব আমাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু আমি তার কথা ধর্তব্যের মধ্যে নিইনি। আমি বলেছিলাম ‘না খোকন যাবে না; আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সে, তা ছাড়া সুগন্ধায় তাকে আমি এনেছি মোজাম্মেল ভাইর ইচ্ছার বিরুদ্ধে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলজীবনে খোকনের প্রতি আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা রয়েছে। এদিকে লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে তার জন্য একটি অনিশ্চিত অবস্থা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় তাকে একটা জবের ক্ষেত্রে সহায়তা করা ছিল আমার ভিতরের হাইড্রোলিক প্রেসার। প্রথমে খোকন জন্য একটি চাকরি ঠিক করলাম সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্সে। হাবিবুর রহমান ছিলে এ ইন্সুরেন্সের নির্বাহী পরিচালক, তিনি ছিলেন বরিশালে। সুগন্ধা সূত্রে তার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি আমাকে নিয়ে একটি পত্রিকা বের করারও পরিকল্পনা করেছিলেন। সুগন্ধার সাফল্যে এ রকম স্বপ্ন অনেকেই দেখতেন। ফলে হাবিবুর রহমানর পত্রিকা বের করার স্বপ্নকে গুরুত্ব না দিয়ে বন্ধু খোকনের চাকরির প্রস্তাব দিলাম জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে। আমার প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হলেন হাবিবুর রহমান। চাকরির প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিতা সম্পন্ন করা হলো। ঠিক হলো, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসে অ্যাপয়েনমেন্ট দেবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। কারণ চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় হাবিবুর রহমান চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এতে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লাম, আর সঙ্গত কারণেই খুবই ভেঙে পড়লো মাহফুজুর রহমান খোকন। এ অবস্থায় তাকে চরম হতাশা থেকে টেনে তোলার জন্য তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে খোকনকে সুগন্ধায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু বেঁকে বসলেন মোজাম্মেল ভাই। সম্ভবত আমার বন্ধু বলেই তিনি খোকনকে নিতে রাজি হচ্ছিলেন না অন্য রকম সাবধানতার বিবেচনায়। কিন্তু আমার অব্যাহত চাপাচাপিতে এক পর্যায়ে রাজি হলেন। মোজাম্মেল ভাই বললেন, ‘কিন্তু বেতন তো এক হাজার টাকার বেশি দিতে পারবো না।’ সম্ভবত তিনি ধারণা করেছিলেন, এ প্রস্তাবে আমি পিছিয়ে যাবো। কিন্তু মোজাম্মেল ভাইর ফাঁদে পা দিইনি। বরং বললাম, ঠিক আছে মোজাম্মেল ভাই, শুরু তো করুক।
এভাবেই মাহফুজুর রহমান খোকনের শুরু হলো সাংবাদিকতা। সব মিলিয়ে আমার ধারণা হয়েছিল, ধরনী দ্বিধা হলেও ‘দোস্ত’ খোকন আমাকে ছেড়ে মোজাম্মেল ভাইর সঙ্গে যাবে না। যে কারণে সৈয়দ মোয়াজ্জেম সাহেবের কথায় গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু শেষতক মোয়াজ্জেম সাহেবের কথাই সত্য হলো, ৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তার প্রিডেকশন যেভাবে ফলেছিল। খোকন সদ্য উপকারী বন্ধুকে ছেড়ে এলাকার বড় ভাইর কাছে গেল, যাকে সে আগে চিনতোও না। বিষয়টি ছিল আমার জন্য খুবই বিব্রতকর!
লেখক: জেষ্ঠ্য সাংবাদিক; ইমেইল: [email protected]
মন্তব্য করুন