ছয় কার্যদিবস পর সূচকের পতন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর আজ পতনে বিরাজ করছে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় সূচক আবারও সাড়ে পাঁচ হাজারে নিচে অবস্থান করেছে।
ঈদকে সামনে রেখে শর্ট টাইম মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে পতন হলেও এর মাত্রা সামান্য। গত ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ১৪৫ পয়েন্ট। এ হিসাবে আজকের পতনটাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকে উত্থান-পতন থাকলেও এক ঘণ্টা পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক এবং শেষ ভাগে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যাহত হয় বাজার। আজ লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন গত দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৪৮৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২০৪৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১৬১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৫০০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৭৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২০৪৭ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭২ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৩১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১১১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ২৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে টেক্সটাইল খাতে। লেনদেনের ভিত্তিতে দেখলে আজকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এবং জ্বালানি খাত। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ট্রেড বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে মার্কেটের বাকি খাতগুলোর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে উভয় খাতেই। বলা যেতে পারে যে বিনিয়োগকারীরা এই খাতগুলোতে ট্রেড বেশি করছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/আলাল/জেবি)
মন্তব্য করুন