মাগুরায় মামলা আতঙ্কে ৩০ পরিবার বাড়িছাড়া
সুজন শেখ নামের এক বাসচালক খুনের মামলায় গণআসামি হওয়ার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছে মাগুরা সদরের মালিকগ্রামের ৩০ পরিবারের সদস্যরা। কোনো কোনো পরিবারে নারী ও শিশু ছাড়া আর কেউ বাড়ি নেই। কারো কারো বাড়ি তালাবদ্ধ।
অনেকে অভিযোগ করছেন, ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও আসামির তালিকায় তাদের নাম দেয়া হয়েছে।
বক্কার মোল্লা বলেন, তিনি বাড়িতে থাকতে পারছেন না বলে নারী-শিশু মিলিয়ে তার পাঁচ সদস্যের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ছাড়া ২৮ বিঘা জমির পেঁপে, ১০ একর জমিতে পাটসহ তার ২০ একর জমির কৃষি খামার হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভুগীরা জানান, মামলা আতঙ্কে কমপক্ষে ৩০টি পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কোনো কোনো বাড়িতে নারী ও শিশু সদস্যরা পর্যন্ত থাকতে পারছেন না মামলা ও হামলার ভয়ে।
এলাকাবাসী খলিল মোল্যা, হারুণ মোল্যা, আনোয়ার মোল্যা জানান, ৫ বছরে এলাকায় ৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এলাকার অনেক পরিবার মামলায় পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছে।
২০১৩ সালে এলাকায় একই সঙ্গে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ট্রিপল মার্ডারে উভয় পক্ষে অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর লুটপাট হয়। এই মামলায় পড়া গণআসামিরা দীর্ঘ দুই বছর এলাকায় ফিরতে পারেনি। গত বছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সবাই বাড়ি ফেরে। এর মধ্যে গত ৩ জুন সুজন শেখ নামে বাইরের এলাকার একজন বাসচালক মালিকগ্রাম বাজারে খুন হন। এ ঘটনা দুজনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটলেও গণহারে মামলা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা হোসেন আল মাহবুব জানান, আটজনের নামে মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৭জুন/মোআ)
মন্তব্য করুন