বাজেট অনুমোদনের আগে প্রয়োজন কিছু পরিবর্তন

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৭, ১১:৪৫

মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু

বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদের অস্থায়ী সরকার ব্যাপকভাবে রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী সহ ধনাঢ্য লোকদের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে গ্রেপ্তার করে। বেশিরভাগ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের একটা বড় কারণ ছিল কর ফাঁকি।  বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম দেশে কর অনাদায়ের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বড় বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের।

এই সময়ই সর্বপ্রথম জনগণের মাঝে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নাম ব্যাপকভাবে প্রচার লাভ করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যার সংক্ষিপ্ত ইংরেজি নাম এনবিআর অর্থাৎ ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউ। শুরুতেই সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকারকে আমি অস্থায়ী সরকার বলার কারণ হল, বাংলাদেশের আইন অনুসারে তত্বাবধায়ক সরকারের সময়সীমা যেখানে তিন মাস সেখানে ফখরুদ্দিন সরকার ক্ষমতায় ছিলেন একটানা দুই বছন। এই কারণে আমি তত্বাবধায়ক না বলে অস্থায়ী সরকার হিসেবে সম্বোধন করেছি।

কর সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিহাসের পুরনো পাতা উল্টালে দেখা যায়, আগের আমলের রাজা বাদশাহরা রাজ্যের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের কারণ দেখিয়ে জনগণের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতেন। কেউ না দিতে পারলে তখন তাকে কঠিন সাজা দেওয়া হতো। তবে উন্নয়নের কথা বললেও বেশিরভাগ রাজ্যের রাজা বাদশাহরা তাদের বিলাসী জীবনেই ব্যয় করতেন রাজ্যের এক বিরাট সম্পদ। অর্থাৎ আদায়কৃত সম্পদ জনকল্যাণে ব্যয় না করে তারা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করতেন।

অন্যদিকে মুসলমান ধর্ম অনুযায়ী রয়েছে জাকাত দেওয়ার প্রথা। এই জাকাত তাদের জন্যই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যারা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক। সুতরাং এই জাকাতকেও অনেক দিক থেকে আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে কর হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি। যার আছে সম্পদ তিনি দেবেন জাকাত। অতএব জাকাত খাজনা কিংবা কর যাই বলুন না কেন ধনাঢ্য লোকদের জন্য একটা অর্থ রাষ্ট্র ভাণ্ডারে দেওয়ার নিয়ম অনেক আগে থেকেই চালু রয়েছে।

নিয়মটা চলে আসছে সেই যুগ যুগ ধরে। বর্তমান যুগে মধ্যেপ্রাচ্যের ধনাঢ্য দেশগুলোতে এখনও করবিহীন আয়ের সুযোগ ধরে রাখা হলেও তেল ফুরিয়ে আসার আতঙ্গে তারাও আয়কর প্রথা চালু করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।

 বর্তমান সময়ে সম্পদের সুষম বন্টনের লক্ষে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশেই মূলত সরকার জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আয়কর ধার্যের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন শতাংশের। উত্তর মেরুর দেশ বলে পরিচিত সুইডেনকে বর্তমানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে সর্বপেক্ষা কর আদায়কারী দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশকে একটি জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে এইসময় ক্ষমতায় থাকা শ্রমিক দলীয় সরকার জনগণের উপর আয়করের বোঝা চাপিয়ে দেয়। প্রথমদিকে প্রতিবাদ উঠলেও পরবর্তীতে আয়করের প্রতিফলন পেয়ে আর কেউ কিছু বলেনি। স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সবকিছুকেই নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষালাভের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, পেনশন ভাতা,  সামাজিক ভাতা, ভাড়া ভাতা, শিশু অনুদান, বেকার ভাতা, অধ্যয়ন অনুদান, চিকিৎসা ও যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হ।l দেশের সবকিছুতেই মনোপলি সিস্টেম চালু করা হয়l এভাবেই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তীতে সুইডেনকে আয়কর প্রদানের মধ্য দিয়ে একটি দরিদ্র দেশ থেকে বিশ্বের উন্নত জীবনযাত্রার দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

এখনও এই দেশে ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের তুলনায় জনগণের কাছ থেকে বেশি আয়কর নেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে সুযোগ সুবিধাগুলোকে ধরে রাখা হলেও ডানপন্থি রক্ষণশীল দল ক্ষমতায় এসে আয়করের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অর্থাৎ মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করে। ফলে কিছু কিছু সুযোগ সুবিধাকে কমিয়ে আনতে সরকার বাধ্য হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের কাছে শিক্ষা ক্ষেত্রে ফি ধার্য করা হলেও সুইডেনে এখনো বিনামূল্যে শিক্ষা সিস্টেম ধরে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা অনুদানও দেওয়া হয়ে থাকে।

দেশের সব সুযোগ সুবিধাকে ধরে রাখা হয়েছে আয়কর প্রদানের উপর নির্ভর করে। জনগণ যদি আয়কর না দেয় তাহলে সকলের জন্য একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে কি করে? কি করে প্রতিষ্ঠা করা হবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, হাসপাতাল, সড়ক মহাসড়কসহ জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়গুলো?

এখন আসি বাংলাদেশের কথায়। সুইডেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে আমি কখনোই বাংলাদেশের তুলনা করতে পারি না। কারণ, দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবে একথা ঠিক যে রাষ্ট্র সম্পদের সুষম বন্টন ছাড়া কখনো একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে আয়কর প্রদান নীতিকে শক্ত করার কারণে বাংলাদেশের জনগণ এখন কর দিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে তার প্রতিফলন  থেকে তারা বঞ্চিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকারের রাজস্ব বোর্ড নানাভাবে জনগণকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করে। পরবর্তীতে বেশি করদাতাদের সম্মানিত করার জন্য পুরস্কারের নিয়মও চালু করে রাজস্ব বোর্ড। এভাবেই আয়কর প্রদান ধীরে ধীরে সর্বক্ষেত্রে প্রসার লাভ করে। বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশেও একটি নিম্নতম আয়কে করমুক্ত রাখা হয়েছেl  এছাড়া একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় থেকে বৃদ্ধি করা হয়েছে ক্রমান্বয়ে আয়কর। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়l

এখন প্রশ্ন হলো ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশের মোট জনসংখার কতভাগ মানুষ বর্তমানে নিয়ম অনুসারে আয়কর পরিশোধ করে? কতজন মানুষকে রাজস্ব বোর্ডের আওতায় আয়কর প্রদানকারী হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে? আমার তো মনে হয় এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। ফখরুদ্দিন সরকারের ক্ষমতায় আসার পর ও পরবর্তী সময় থেকেই মূলত দেশে আয়কর না দেওয়ার ভয়টা জনমনে একটু বেশি প্রভাবিত করে। এখান থেকেই শুরু হয় আয়কর প্রদানের প্রচার ও প্রসার। সুতরাং বলা যায় সেনা সমর্থিত একটি অরাজনৈতিক অগণতান্ত্রিক অনির্বাচিত সরকারের আমলে মূলত বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আয়কর প্রদান বিস্তার লাভ করে।

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকার তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে ইতেমধ্যে তিন বছর পাঁচ মাস সময় কাটিয়ে দিয়েছে। এই সময়গুলোতে সরকারের সাফল্যের পরিমাণ যথেষ্ট হলেও কিছু কিছু বিষয়ে জনগণসহ বিরোধী দলগুলো থেকে আসছে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা। সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর বাজেট ঘোষণা নিয়ে এখন সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে এক লক্ষ টাকার ব্যাংক হিসাবে বাড়তি করারোপ এবং প্রতিক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাট আরোপের ঘোষণা জনগণ মেনে নিতে পারছে না। ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বাজেটের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এই বাজেট প্রস্তাব সংসদে অনুমোদনের পূর্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্ববহন করছে। তা না হলে জনমনে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে বাজেটে সংশোধন আসতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সে সংশোধন কি শুধুমাত্র এক লক্ষ টাকার ব্যাংক হিসাবে বাড়তি করারোপের বিষয়? না কি সব কিছুর ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের বিষয়টিও থাকবে? তাছাড়া মূলধনের উপর কর আসবে কেন? আর যদি সম্পদের উপর কর আনতেই হয় তাহলে তার পরিমান বৃদ্ধি করে ১০ কিংবা ২০ লক্ষের মধ্যে আনা যেতে পারে।

একদিকে অতিরিক্ত কর অন্যদিকে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিজনগণ কিছুতেই গ্রহণ করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, যারা তাদের মূলধন ব্যাংকে জমা রেখে এতদিন সুদের উপর নির্ভর করে সৎভাবে জীবন যাপন করতেন, তাদের উপরও আসছে আঘাত। সুদের হার ক্রমেই কমছে। জনগণ তাহলে চলবে কীভাবে?

জনগণের কর দিতে আপত্বি নেই যদি সরকার তার সদ্ব্যবহার করে। জগণের মতে, ‘আমরা আয়কর দিব, তবে তার প্রকৃত প্রতিফলন দেখতে চাই’l কিন্তু তা না হয়ে দেখা যায় রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা, ঋণ খেলাপিদের ধরা তো দূরের কথা বরং আগের টাকা শোধ না দিয়ে তারা পেয়ে যায় আবার নুতন নতুন ঋণl কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ প্রদানসহ শেয়ার মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা উধাও ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়া পরিচিত দুর্নীতিবাজদের সমাজের উঁচু তলায় দিব্যি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

অনেকে মনে করেন, এসব রাঘব বোয়ালদের সাথে সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তা না হলে সারা দেশের মানুষ যাদের অপরাধী হিসেবে ভালো করে চিনে ও জানে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কেন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না?

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একসময় দুঃখ করে বলেছিলেন, আমি যেদিকে তাকাই সবই তো আমার। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কি তাহলে একই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন?  

আগামী পয়লা জুলাই থেকে বাংলাদেশ সরকার নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে। এই ভ্যাট আইন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই  চালু থাকলেও  ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে  প্রচলন হয়। ওই সময় ভ্যাট আইন প্রবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে  অরাজকতা  সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে  তা  না হলেও এই আইন কার্যকরী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে  করেন। অন্যদিকে এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীপক্ষ রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করার একটা সুযোগ পাবে।

ইতিমধ্যে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন। এক্ষেত্রে এখন সরকারের উচিত হবে সব পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ না ধরে  এই হার একাধিক করা। সুইডেন সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্যাটের হার একাধিক রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সম্ভবত  রাজস্ব বোর্ডের  কাজ  সহজতর  করার  লক্ষে সব পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান ব্যবস্থা চালু করতে চাচ্ছেন। কিন্তু  জনগণ  তার  বোঝা  বইতে কতটুকু  সহনশীল  হবে  এবেপারে কি একটু  চিন্তা  করা  উচিত নয়?

সুতরাং ভ্যাটের হার বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক করাটাই হবে সরকারের জন্য উত্তম সিদ্ধান্ত। এছাড়া পরিমাণ কমিয়ে ১০ শতাংশের মধ্যে আপাতত রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে ব্যাংকে সামান্য মূলধন রাখলে তার উপর আবার কর আসবে কেন? কর তো আসবে আমার জমা রাখা মূলধনের সুদের উপরl আমার জমানো টাকা আমি ব্যাংকে না রেখে তাহলে রাখব কোথায়? কিছু লাভ পাওয়ার আশায় জনগণ ব্যংক অর্থ জমা রেখে থাকে। সরকারের এই আইন একদিকে জনগণকে করবে আয় থেকে বঞ্চিত অন্যদিকে কর দেওয়ার ভয়ে জনগণ টাকা বাড়িতে ফেলে রাখবে যা খুবই বিপজ্জনকl

এক্ষেত্রে ব্যাংকে রাখা এক লক্ষ টাকা সম্পদের উপর করারোপ না করে অর্থের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করা যেতে পারে। মূলধনের উপর কর সব দেশেই আছে, তবে এতো নিম্ন পর্যায়ে নয়l এছাড়া সঞ্চয়পত্রসহ ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থ জমা রেখে দেশের অনেকেই তাদের দৈনন্দিন জীবন ধারণের মান বজায় রেখে আসছে। এখন হটাৎ করে সুদের হার কমিয়ে দিলে তারা সমস্যায় পড়বেl বিষয়টি সরকারের নুতন করে ভাবা উচিত হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

একথা সত্য যে বিভিন্ন দেশে ব্যাংকের সুদ দেওয়া নেওয়ার উপর এখন আর আগের মত এত উচ্চ শতাংশ নেই। বলতে গেলেই সবদেশেই এই হার এখন অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বেলায় সুদের হার কমিয়ে সরকার কতটুকু  লাভবান হবে কিংবা আদৌ লাভবান হবে কি না একটু  ভেবে দেখা উচিত। কারণ, বর্তমানে এই  সুদের হারের উপর  নির্ভর করে আছে অসংখ্য পরিবার। দেশের জনগণ এখন তাকিয়ে আছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এক শেখ হাসিনা সামলাবেন কত দিক?     

লেখক: সুইডেনে মূলধারার রাজনীতিতে জড়িত