আদালতে খালেদা জিয়া

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৭, ১২:২৭ | আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭, ১৩:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে দুই মামলায় হাজিরা দিতে আজ  বৃহস্পতিবার আদালতে গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে  গুলশানের ‘ফিরোজা ভবন’ থেকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতের উদ্দেশ্য রওনা হয়ে সোয়া ১১টার দিকে বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে তিনি উপস্থিত হন।

এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ধার্য আছে।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এদিকে অন্যান্য সময়ে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে বকশিবাজার ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আংশিক আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

(ঢাকাটাইমস/৮জুন/বিইউ/এমএম/জেডএ)