পোশাক খাতের জন্য আলাদা বিল্ডিং কোড প্রয়োজন

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৭, ২২:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের পোশাক খাতের ভবনের জন্য আলাদা বিল্ডিং কোড থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল বারী।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এ কথা বলেন তিনি।

নির্মাণ এবং নির্মাণ পরিবেশের আস্থা বৃদ্ধি বিষয়ক সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। মতিঝিলের ডিসিসিআই ভবনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

শফিউল বারী বলেন, ‘আমাদের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বা জাতীয় ভবন নির্মাণ নীতিমালার আধুনিকায়ন একান্ত আবশ্যক। এজন্য তৈরি পোশাক খাতের ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা বিল্ডিং কোড থাকা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন,  অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে নির্মাণখাতের মান সংরক্ষণ করা যায়। নির্মাণ খাতের মান বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হংকং, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের দেশসমূহকে অনুসরণ করতে পারে।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, অ্যাক্রেডিটেশনের অভাবে এতদিন বাংলাদেশকে বিশ্ব বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সনদ সংগ্রহ করা অনেক সময় ব্যয়সাপেক্ষ এবং দূরহ ছিল। তবে বর্তমানে সফলতার সঙ্গে আমরা তা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, এসডিজির ৯ এবং ১১ নং লক্ষ্য অনুযায়ী টেকসই অবকাঠামো নির্মাণসহ মানুষের জন্য নিরাপদ শহর ও মানসম্পন্ন আবাসস্থল এবং রেল, সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ অত্যাবশ্যকীয়। এসব লক্ষ্য অর্জনে সবার জন্য নিরাপদ এবং পর্যাপ্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা ময়মনসিংহ চার লেনের রাস্তা সম্প্রসারণ, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, রাজধানী ঢাকায় মেট্রো রেল চালু, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রমুখ।

বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পখাত ও এর পরিবেশ সুরক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে নির্মাণ শিল্প বিকাশের অপার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা জরুরি।

সভাপতির বক্তব্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাউজিং এবং অবকাঠমো খাতের উন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএবি কে শক্তিশালী করতে আরও অধিক দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জনবল বৃদ্ধি পেলে বিএবি আরও অধিকতর ভাল সেবা প্রদান করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক আবু আব্দুল্লাহ, ডিসিসিআই পরিচালক খ. রাশেদুল হাসান, প্রাক্তন সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, প্রাক্তন পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।

ঢাকাটাইমস/৮জুন/জেআর/এমআর