ইউএনও’র সহায়তায় প্রতিবন্ধী মরিয়মের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
সপ্তাহখানেক আগে মরিয়ম হুইলচেয়ারে চড়ে অভয়নগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাইকে তিনি জানান তার অসহায়ত্বের কথা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ডিপ্লোমা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরিয়মের। এবার তার পরীক্ষা দেয়া হয়তো হবে না। কারণ পরীক্ষা দিতে যেতে হবে অভয়নগর থেকে যশোরে। দুই পা পুরোপুরিভাবে অকার্যকর হওয়ায় হুইলচেয়ার নিয়ে বাসে যাওয়া কঠিন।
অন্য বন্ধুদের রাজি করিয়ে সবাই মিলে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করার পরিকল্পনা ছিল। যার জন্য পরিকল্পনা, সেই গেল পিছিয়ে। নিজের ভাগের ৩ হাজার টাকা যোগাড় হয়নি।
বাবা মারা গেছেন ৩ বছর আগে। মা অন্যের দয়ার ওপরে নির্ভর করতেন। সম্প্রতি পুনর্বাসিত হয়েছেন ভিক্ষুকমুক্ত অভয়নগরের আওতায়। তাই উপায়ন্তর না দেখে ইউএনওর কাছে সমস্যার কথা জানান মরিয়ম।
সমস্যার কথা শুনে সাথে সাথে সাহায্যের আশ্বাস দেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও।
গত মঙ্গলবার তিনি ছুটে গেছেন মরিয়মদের রেল বস্তির বাসায়। প্রতিবন্ধী সহায়তা খাতে অর্থবছরের শেষ প্রান্তে এসে তহবিল থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই কিছুদিন আগে এইচএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে প্রাপ্ত সম্মানীর অংশ থেকে তিন হাজার টাকা তুলে দেন মরিয়মের হাতে।
আমাদের সমাজে এরকম মরিয়মের সংখ্যা একদম কম নয়। সবার সমস্যা একা আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। এজন্য সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/৯জুন/এলএ)
মন্তব্য করুন