নোয়াখালী-৫: আবার কাদের-মওদুদ লড়াইয়ের অপেক্ষা

প্রকাশ | ১০ জুন ২০১৭, ০৯:৩১

তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালী-৫ আসনটি বরাবরই আলোচিত। এ আসনে লড়াই করেন দেশের বৃহত্তম দুই দলের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মওদুদ আহমদ। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আশা করছেন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন পুর্নবন্টনের পর নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট উপজেলা ও সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় নোয়াখালী-৫ আসন।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম এ আসন থেকে নির্বাচন করেন মওদুদ আহমদ ও ওবায়দুল কাদের। মওদুদ আহমদ জাতীয় পার্টির টিকিটে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরকে পরাজিত করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মওদুদ আহমদকে হারিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরেই জাতীয় পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন মওদুদ আহমদ। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরকে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মওদুদ আহমদ।

২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মওদুদকে আবার হারান ওবায়দুল কাদের। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি অংশ নেয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি এলে এই আসনে জমজমাট লড়াই হবে। কারণ দুইজনই বড় দুই দলের প্রভাবশালী নেতা। মওদুদ আহমদ মন্ত্রী থাকাকালীন এ এলাকায় উন্নয়ন করেছেন। আবার ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী হওয়ার পরও উন্নয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, কোন ব্যতিক্রম ঘটনা না ঘটলে এ আসনে আগামীবারও ওবায়দুল কাদের ও মওদুদ আহমদ প্রার্থী হবেন। এ দুইজনের বিকল্প প্রার্থী এখনও এ সংসদীয় আসনে হয় নাই।

কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা শাফায়েত আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কাদের সাহেব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আর মওদুদ সাহেব বিএনপির বড় নেতা। দুইজনই যোগ্য। এলাকায় দুইজনেরই শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাদের বিকল্প কাউকে আমরা এখনও দেখি নাই। আগামী নির্বাচনে একটা জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছি।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম শিকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মওদুদ সাহেব প্রবীণ রাজনীতিবিদ। এলাকায় তার অনেক জনসমর্থন রয়েছে। তাছাড়া তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনিই এ আসন থেকে আগামীতে নির্বাচন করবেন। আশা করি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুনবী চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এ আসনে আমাদের একক প্রার্থী ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগত ও সরকাবিভাবে এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা আশাবাদী।’

ঢাকাটাইমস/১০জুন/টিএ/ডব্লিউবি