ভালো আচরণ না করলে জবাব মিলবে ব্যালটে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘উন্নয়ন ও অর্জন সরকারের ওপর ছেড়ে দিন। আপনারা জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো উন্নয়ন করছেন। আপনারা ভালো আচরণ করুন। এ দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা আগামী নির্বাচনে আবারো জয়ী হবো। ক্ষমতার ভয়ে খারাপ আচরণে মানুষ প্রতিবাদ করবে না। সামনা-সামনি প্রতিবাদ না করলেও নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে দেবে।’
শনিবার দুপুরে ফেনী শহরের পাগলা মিয়া সড়কের ডিএম কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের এমন নেতাকর্মীও আছেন যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেন না। এরকম কোনো নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ এমনকি প্রগতিশীল মনের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছেন এমন নেতাদের খবর আমাকে জানাবেন। আমি দলের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।’ শুধু বক্তৃতা দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়া যাবে না বলেও মনে করেন তিনি।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগে কিছু ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ, সংস্কৃতিবোধ আছে। যেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানী সূচনা করেছিলেন। সেই মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ ও সংস্কৃতি হারিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ হারিয়ে যাবে। কত কর্মী হারিয়ে গেছে। কত কর্মী কোণঠাসা হয়ে গেছে। তাদের মূল্যায়ন করুন। তাদের সাথে ভালো আচরণ করুন। দুঃসময়ের কর্মীদের কোণঠাসা করবেন না।’
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে যারা ধ্বংস করতে চেয়েছে তারাই ধ্বংস হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গায়। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে সৃষ্টি করতে জানে। যারা ২০০১ সাল ফিরে আসার কথা ভাবছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বিএনপি দল পুনর্গঠন করতে গিয়ে লাঠি খেলায় মেতে উঠছে।’
‘আওয়ামী লীগ ৩০ আসনও পাবে না’ মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি (ফখরুল) এমন তথ্য কোথায় পেলেন তা আমার জানা নেই। অতীতে তারা ৩০ সিটেরও কম পেয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনেও জনগণই তা প্রমাণ করবে।’
মওদুদ আহমেদের বাড়ি উচ্ছেদ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভুয়া আমমোক্তারনামা দলিল করে বাড়িটি দখল করেছিলেন। আইনি লড়াই করেও হেরে গিয়েছেন।’ মওদুদের ফুটপাতে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি ফুটপাতে থাকবেন কেন, তার ঢাকা শহরে তিনটি বাড়ি রয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকারের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহানআরা বেগম সুরমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য আজিজ আহম্মদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্রামুজ্জামান, সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন হুমায়ুন, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর হোসেন, ফেনী পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম, পরশুরাম উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, সোনাগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, দাগনভূঞা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুন, মাতুভূঞা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রব রবি প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন