চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক-পুলিশ অবরুদ্ধ, ধর্মঘট

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০১৭, ২১:০৮

চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই ব্যবসায়ী নেতাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে এই ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বেআইনি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল বিক্রি রোধে রবিবার বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি বিকালে শহরের রেল বাজারে অভিযান চালাতে গেলে ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনসহ ব্যবসায়ী নেতারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে ভ্রাম্যমাণ আাদালতের বিচারক ও পুলিশ সুপারের মধ্যে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি ও বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটলে গোটা শহরে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় অতিরিক্ত পুলিশ।

ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আশাদুর রহমান লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। টেনে হেঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে থানাতে নিয়ে যান।

এ ঘটনা দ্রুত ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তা প্রতিবাদ সভায় রূপ নেয়। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবি তোলেন। সেখানে বক্তব্য দেন জেলা দোকান মালিক সিমিতির সভাপতি আশাদুর রহমান লেমন, সহ-সভাপতি জগলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দীন চান্নুসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ঢাকাটাইমসকে বলেন, নিজেদের পরিচয় দেয়া সত্ত্বেও পুলিশ সুপার আমাকে ও আমার সভাপতিকে লাঞ্ছিত করে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার না করা হলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

তবে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন ব্যবসায়ী নেতাদের লাহ্ছিতের অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঘটনাস্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আলাপ আলোচনার জন্য তাদের থানায় নেয়া হয়। সেখানে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ঘটনার সমাপ্তি হয়। কিছু মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। যা দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকার কারণেই ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারককে অবরুদ্ধ করার মতো নাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। যা অপ্রত্যাশিত। পুলিশ-ব্যবসায়ী সৃষ্ট সংকট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশাবাদ জেলা প্রশাসকের।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :