‘ভালো কাজের বিরোধিতা থাকবে, দমে গেলে চলবে না’

অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের জয়, অশুভ’র বিরুদ্ধে শুভ’র জয়, মানুষের ভালোবাসায় মুক্তি এটাই জনগণের ক্ষমতায়ন। দলের নেতৃত্বের বেইমানি ছয় দফায়ও বিরোধিতা ছিল। সমস্ত ভালো কাজের বিরোধিতা থাকবে, দমে গেলে চলবে না। বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়।

রবিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী এসব কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দীর্ঘ রাজনৈতিক নেতৃত্বের ইতিহাসে জেল-জুলুম ও হত্যাপ্রচেষ্টা মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। এই সময়কালে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয় ২০০৭ সালে গ্রেপ্তারের পর। এবার তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি তার বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও কূটনৈতিক মেধার মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কারাপ্রাচীর ভেঙে নিজে মুক্ত হন এবং একইসাথে সমগ্র জাতিকে ভবিষ্যত অন্ধকার থেকে মুক্ত করেন আর একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।’

ওমর ফারুক বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ শূন্য করা যাবে। তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস ছাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, নাসরিন জাহান শেফালী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, কার্যনির্বাহী সদস্য নেতা রওশন জামির রানা, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খাঁন নিখিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/টিএ/জেবি)