ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত, মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুন ২০১৭, ২২:২৬ | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০১৭, ২২:২৪

টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে মাইক্রোবাস থামিয়ে বিকাশের টাকা ছিনতাইকালে আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন (২৩) নামে এক কলেজছাত্রকে হাতেনাতে আটক করেছেন ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা। রবিবার দুপুর আড়াইটায় টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মঞ্জুর ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ তার ওপরও চড়াও হয়। পরে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা কাজী মঞ্জুরকে বেধম লাঠিপেটা করে স্থানীয় ক্যাম্পে আটক করে রাখে।

মুহূর্তের মধ্যে খবরটি টঙ্গী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়ক অবরোধ করে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কাজী মঞ্জুরকে ছেড়ে দিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিকাল তিনটায় অবরোধ তুলে নেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা যায়, দুপুর আড়াইটায় এক বিকাশ কর্মী কলেজগেট এলাকা থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ করে মাইক্রোবাসে উঠার সময় ২/৩ জন ছিনতাইকারী পরপর তিন রাউন্ড গুলি করে মাইক্রোবাসটির পথরোধ করে টাকাসহব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় মাইক্রোবাসে অবস্থানরত আনসার কর্মীরা ছিনতাইকারীদের বাধা দেয়। এনিয়ে আনসার কর্মীদের সাথে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি চলতে থাকে। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী শিল্প পুলিশের ক্যাম্প থেকে নায়েক হাবিব দেখতে পেয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে এগিয়ে আসে। পরে তাদের সাথেও ছিনতাইকারীদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে কয়েকজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী আমিনুল ইসলাম ইয়াছিনকে আটক করে শিল্প পুলিশ। এসময় ছিনতাইকারীরা নায়েক হাবিবকে এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে। এদিকে টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জুর বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ কাজী মঞ্জুরকেও আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। খবরটি টঙ্গী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়ক অবরোধ করে। আটককৃত আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন টঙ্গীর বনমালা এলাকায় বসবাস করে। তিনি নরসিংদী জেলার সদর থানার দরিচর বাসনিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মো. হানিফ মিয়ার ছেলে এবং ঢাকা পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র।

এ ব্যাপারে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জুর জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত কলেজের সামনে যাই। এসময় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা আমার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এর আগে টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনের ফুটপাতের দোকান থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের চাঁদা আদায় ও কলেজছাত্রী উত্তক্ত্যের প্রতিবাদ করায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ওপর এ হামলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিল্পপুলিশের ইনচার্জ আবু রায়হান ঢাকাটাইমসকে জানান, ঘটনার সময় ছিনতাইকারী ইয়াছিনকে আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে কাজী মঞ্জুরকেও আটক করা হয়। পরে ঘটনার তদন্তে জানা যায় কাজী মঞ্জুর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। নিছক একটি ভুল বোঝাবুঝি। তাই আমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছি এবং ইয়াছিন আটক রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/আইআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :