ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিতের ঘটনায় ১৫ পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৭, ১৮:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় বিকাশের টাকা ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় শিল্প পুলিশের হাতে টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মঞ্জুরকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় টঙ্গী শিল্পাঞ্চল পুলিশের ১৫ সদস্যকে একযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। টঙ্গী শিল্পাঞ্চল পুলিশের ইনচার্জ আবু রায়হান সোহেল ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রবিবার টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে মাইক্রোবাস থামিয়ে বিকাশের টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন নামে এক কলেজছাত্রকে হাতেনাতে আটক করে টঙ্গী শিল্প পুলিশ। এসময় খবর পেয়ে টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মঞ্জুর ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে শিল্পপুলিশের সদস্যরা তার ওপরও চড়াও হন। পরে শিল্প পুলিশের সদস্যরা কাজী মঞ্জুরকে লাঠিপেটা করে স্থানীয় ক্যাম্পে আটক করে রাখেন। মুহূর্তের মধ্যে খবরটি টঙ্গী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কাজী মঞ্জুরকে ছেড়ে দিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিকাল তিনটায় অবরোধ তুলে নেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ঝড় উঠে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাতেই শিল্প পুলিশের গাফিলতি পাওয়ায় ১৫ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এ ব্যপারে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জুর ঢাকাটাইমসকেবলেন, ‘কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কলেজের সামনে কোনো ঘটনা ঘটলে আমাকে বিষয়টি জানতে হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেও আমি দ্রুত কলেজের সামনে যাই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা অনৈতিকভাবে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

কাজী মঞ্জুর বলেন, ‘কয়েকদিন আগে টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনের ফুটপাতের দোকান থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম। এছাড়া শিল্প পুলিশের ক্যাম্পটি কলেজ ক্যাম্পাসের পাশে হওয়ায় প্রায় সময় শিল্প পুলিশের সদস্যরা কলেজ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। এ ঘটনায় আমি বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ওপর এ হামলা করা হয়েছে।’

টঙ্গী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিকাশের টাকা বহনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারদের পক্ষ থেকে আটক আমিনুল ইসলাম ইয়াসিনকে একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি ও তার অজ্ঞাত সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

টঙ্গী শিল্পাঞ্চল পুলিশের ইনচার্জ আবু রায়হান সোহেল ১৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই টঙ্গী শিল্প পুলিশের ১৫ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ছিনতাই ঘটনায় শিল্প পুলিশ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে যারাই দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২জুন/আইআর/জেবি)