ভোলায় ১৪ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৭, ২১:০৭

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলায় নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে দ্বীপজেলার উপর দিয়ে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট উঁচু জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলায় অতি জোয়ারের পানিতে বেড়ি বাঁধ ভেঙে সাত গ্রাম ও মনপুরায় ভাঙা বেড়ি বাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সাত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমোহনী এলাকায় রবিবার রাতে বেড়ি বাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে করে বালিয়াকান্দি, দেওয়ানপুর, ঘোষের হাওলা, দক্ষিণ শিবপুর, ইন্দ্র নারায়ণপুর, দক্ষিণ চাপড়ি, দালালকান্দি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার লোক জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারগুলো এই রোজার সময় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। এছাড়াও ওই উপজেলার দড়ি চাঁদপুর ও পাটওয়ারীকান্দি এলাকার বেড়ি বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মূহূর্তে ভেঙে তজুমদ্দিন বাজার তলিয়ে যেতে পারে।

তজুমদ্দিন এলাকার রফিক সাদি অভিযোগ করে বলেন, সঠিক সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়ি বাঁধটি সংস্কার করলে এলাকবাসীর এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

অন্যদিকে মনপুরা উপজেলার ভাঙা বেড়ি বাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে রমজানের মধ্যে দুর্ভোগ পড়েছে উপজেলার মনপুরা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়াও প্রায় ৫ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।

হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, বর্ষায় ভাঙা বেড়ি বাঁধের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই নিম্নচাপটি ভোলার উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।

অপর দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ার-ভাটার সাথে মিল রেখে ফেরি চলাচল করলেও ফেরি ও সিট্রাকের যাত্রীরা প্লটুনে উঠা-নামা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। ঈদের আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ ঘাটটি সংস্কার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকার কথা জানান ফেরির দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিসির ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি সার্ভিসের ম্যানেজার মো. আবু আলম।

(ঢাকাটাইমস/১২জুন/প্রতিনিধি/এলএ)