বেনাপোল কাস্টমস ৭ দিনই খোলা রাখার নির্দেশনা
দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে পবিত্র রমজান মাসে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজকে সপ্তাহে সাত দিন খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সোমবার বিকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারিকৃত এক চিঠিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সপ্তাহে সাত দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেনাপোল কাস্টমস হাউজ চালু রেখে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে হবে।
অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিন্ন কথা। বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে উচ্চ ডিউটিসম্পন্ন পণ্য চালান-খালাস নিতে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। একদিকে কাস্টমসের লোকবল সংকট, অন্যদিকে নানা নিয়ম নীতির কারণে ফাইলে কাজ দ্রুত সম্পন্ন না করা। সব মিলিয়ে বর্তমানে বেনাপোলে ব্যবসার ক্লান্তিকাল পার হচ্ছে। অফিসারদের টেবিলে একটি ফাইল ৪-৫ ঘণ্টা থাকা সত্বেও তা দ্রুত শুল্কায়নের নির্দেশনা না দিয়ে অহেতুক বিলম্ব করা হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৮টি বন্দরের স্থলপথে যেসব পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়, তার ৭০ শতাংশ আসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অবস্থান রযেছে শীর্ষ পর্যায়ে। সপ্তাহে সাত দিন কাস্টমস হাউজ খোলা থাকলে রোজার মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি পণ্য সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া পণ্যের বাজার মূল্যও বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, সপ্তাহে সাত দিন কাস্টমস হাউস খোলা রাখলেও খুব একটা কাজে আসবে না। কারণ কাস্টমস হাউসের অফিসারদের টেবিলে ফাইল গেলে তার দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রদান করলে রাজস্ব আয় বাড়বে। বন্দর সচল রাখার পাশাপাশি স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা থাকলে ব্যবসায়ীরা ভালো সুফল পাবে। তা না হলে, খুব একটা লাভ হবে না। কারণ কাস্টমসে আমদানি পণ্যের রাজস্বের টাকা এসব বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আনা-নেয়া হয়ে থাকে।
তবে অনেকে বলছেন, পবিত্র রমজানের দিনে বেশি কাজ করা অনেক কষ্ট হয়ে পড়বে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. শওকাত হোসেন জানান, রাজস্ব বোর্ড থেকে কাস্টমস হাউস সপ্তাহে সাত দিন খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হযেছে। নির্দেশনা কার্যকর করতে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২জুন/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন