সোনারগাঁওয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদী থেকে বালু তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও দোকানের মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আনন্দবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর নুনেরটেক গ্রাম ঘেঁষে বৈদ্যেবোজার ইউপি সদস্য বাসেদ মেম্বারের লোকজন ভোরে একাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছিলেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তাদের ধাওয়ার মুখে বালু তুলতে আসা লোকজন পালিয়ে যায়।
বিকালে বিষয়টি নিয়ে হোসেন মেম্বারের লোকজনের সঙ্গে বাসেদ মেম্বারের লোকজনের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে শফিকুল, বাবুল ও রনি টেঁটাবিদ্ধ হন। এছাড়াও আহত হন মাছুম মিয়া, শাহজাহান, শামীম মিয়া, বাবুল মিয়া, সিরাজ মিয়া, আলী আকবর, কোহিনুর আক্তার, আরিফা বেগম ও দিপা আক্তারসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন। আহতদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া, হোসেন মেম্বার, ফুল মিয়ার বাড়িঘর এবং কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) সাজেদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুরায়েত হায়াত শিপলুসহ উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় বৈদ্যেরবাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. মঞ্জুর কাদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জিজ্ঞাবাসাবাদের জন্য বাসেদ মেম্বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
ঢাকাটাইমস/১৩জুন/প্রতিনিধি/এমআর
মন্তব্য করুন