ঈদ পোশাক নিয়ে ব্যস্ত জামালপুরের দর্জিরা

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০১৭, ১৩:১০

দুলাল হোসাইন, জামালপুর

বাহারি ডিজাইনের পোশাকে বাজার সয়লাব থাকলে এখনও তৈরি পোশাকের কদরের কোন কমতি নেই। ঈদকে সামনে রেখে কর্মমুখর দর্জি দোকানগুলো। আর দুই পয়সা বেশি রোজগারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দর্জিরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাটার মাস্টারের কাঁচি চলছে নতুন কাপড়ের উপর। সেই কাপড় চলে যাচ্ছে কারখানার কারিগরের হাতে। কারিগরা দিন-রাত পরিশ্রম করে তৈরি করছেন নতুন পোশাক। কারখানাজুড়ে সেলাই মেশিনের ঘটঘট শব্দ। প্রচণ্ড গরমে শরীরে ঘাম জড়লেও মনের আনন্দে সেলাই করছেন দর্জিরা। অবিরাম ঘুরছে সেলাই মেশিনের চাকা। তৈরি হচ্ছে প্যান্ট-শার্ট, পায়জামা-পাঞ্জাবিসহ মেয়েদের বাহারি ডিজাইনের সব পোশাক।

শহরের জামে মসজিদ রোডে বলাকা টেইলার্সে কথা হয় পোষাক তৈরির কারিগর খলিলের সাথে। পোশাক সেলাইয়ের ফাঁকে ঢাকাটাইমসকে বলেন, দম ফেলানোর সময় নেই। রাত-দিন কাপড় সেলাই করেও কাজ শেষ করতে পারছি না। চলতি সপ্তাহেই কাজের চাপ আরো বাড়বে। তমালতলা এলাকায় জিএস টেইলার্সের মালিক সানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, এবার প্রচুর কাজ পেয়েছি। আর দুই তিন দিন হতো নতুন কাজ নিতে পারব। শুধু কাজ নিলেই তো হবে রা, ঈদের আগে গ্রাহকদের কাপড় সরবরাহ করতে হবে।

লেডিস টেইলার্স ফ্যাশন ফেয়ারের মালিক সৈয়দ শহিদুল ইসলাম জানান, রমজানের আগে থেকেই কাজ আসতে শুরু হয়েছে। প্রচুর কাজ জমে আছে। এখন কাজ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

ইউসুফ টেইলার্সের মালিক ইউসুফ আলী বলেন, আমরা এখনো অর্ডার নিচ্ছি। আমাদের অতিরিক্ত কারিগর থাকায় ২০ রমজান পর্যন্ত কাজ নিতে পারব।

দর্জি দোকানগুলোতে এখন প্রচুর ভিড়। গ্রাহক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন মালিক ও কর্মচারীরা। টেইলার্সের মালিক ও কারিগররা বলছে, সামনে আরও কাজের চাপ বেড়ে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/প্রতিনিধি/এলএ)