দ্বিতীয় ধরলা সেতুর নির্মাণকাজে মন্থর গতি

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০১৭, ২১:৫০

এস.কে সাহেদ, লালমনিরহাট

লালমনিরহাট সদর ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলায় সড়ক পথে চলাচলের জন্য প্রস্তাবিত দ্বিতীয় ধরলা সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে মন্থর গতিতে। সেতুর নির্মাণ কাজ যেমন শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১৯ মাস পর, আবার চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ডিসেম্বরের আগে হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এতে ৪ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এখন ধরলা নদী পার হতে খেয়াঘাটের ইজারাদারকে মাশুল দিতে হচ্ছে। আবার রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খেয়াঘাট বন্ধ থাকে। এ সময় রোগীসহ জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারীদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ সড়কপথে রাজধানী ঢাকা এবং বিভাগীয় শহর রংপুরসহ দেশের যেকোনো স্থানে সহজে যাতায়াত করতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার শ্রেণির এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ২২৩ টাকা। সেতুটির জন্য ১৩ দশমিক ৬৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি অংশে ২ দশমিক ৯৬ একর এবং লালমনিরহাটের কুলাঘাট অংশে ১০ দশমিক ৬৯৬ একর জমি রয়েছে। সেতুটির সংযোগ সড়কের জন্য ফুলবাড়ি অংশে ৮৪২ মিটার এবং কুলাঘাট অংশে ২ হাজার ৩০ মিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

সেতুটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিইডির পরামর্শক প্রকৌশলী রনি কুমার ঘোষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা জেভির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সাধন কুমার দাস জানান, এরই মধ্যে সেতুটির মূল কাঠামোর প্রায় ৮০ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ (নির্ধারিত) জুন মাস নয়, আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় দ্বিতীয় ধরলা সড়ক সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর ১৯ মাস পর ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিম প্লেক্স-নাভানা জেভি লিমিটেড।  

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/প্রতিনিধি/এলএ)