ঘাটাইলে স্লুইসগেট দখল করে ধান চাষ!

রেজাউল করিম খান রাজু, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে
 | প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০১৭, ১৯:২৩

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চাপড়ি স্লুইসগেট দখল করে ধান ও মাছ চাষ করা হচ্ছে। স্লুইসগেট কমিটির সভাপতি মজনু মিয়া তার চার ভাইসহ ১০ জনকে নিয়ে গেট সংলগ্ন জায়গায় চাষ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মজনু মিয়া টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ধান চাষসহ সরকারি জমিতে দু’তলা ফাউন্ডেশন করে বাসা করেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯৩ সালে স্থানীয় কাহারে খাল থেকে বংশাই নদী মুখে চাপড়ি রেগুলেটর নামে ওই স্লুইসগেটটি নির্মাণ করে। চাপড়ি মৌজার ১৭২ নং দাগের প্রথমে ৪ একর এবং পরে আরো ৮০ শতাংশ জমি স্লুইস গেটের নামে অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার (এসও) মো. আবু সাইদের সাথে যোগসাজশ করে মজনু (৬৫), গিয়াস (৬৩), জোয়াহের (৫০), জয়নাল (৪৫), আজিজ (৪০), সাবেক ইউপি সদস্য কান্দু মিয়া (৫৫), মতিয়ার রহমান (৫০), শমশের (৪৮), তাহের (৩৮), খোকা (৫২), মিন্টু (৫২) ও খসরা (৫৩) স্লুইসগেটের জমি দখল করে ধান চাষ করছেন।

আর স্থানীয় আ. ছাত্তার বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করলেও পরে তিনি মাছ সরিয়ে নিয়ে বাঁধ কেটে দিয়েছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য কান্দু মিয়া জানান, স্লুইসগেট করার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে যার যা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সে সেই জমি দখল করে ভোগ করতে পারবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আ. ছাত্তার জানান, এসও আবু সাইদ দখলকারীদের কাছ থেকে ধান বাবদ টাকা নেন। গত মে মাসে তিনি স্লুইসগেটে ৬০ হাজার টাকার রঙ ৫ হাজার টাকায় করেছেন।

নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে স্লুইসগেট কমিটির সভাপতি মজনু মিয়া জানান, তিনি স্লুইসগেটের জমিতে কোন বাসা-বাড়ি নির্মাণ করেননি, ওই বাড়িটা তার নয়।

এ ব্যাপারে সেকশন অফিসার (এসও) মো. আবু সাইদ জানান, তিনি নতুন এসেছেন, এতো কিছু জানেন না। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ ঢাকা টাইমসকে জানান, তিনি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :