‘লন্ডনের আগুনে আর কেউ জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই’

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৭, ১৯:৪২ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭, ১৯:৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবিত কাউকে খুঁজে পাবার আর কোনো আশা নেই -বলছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।

লন্ডন ফায়ার কমিশনার ড্যানি কটন বলছেন, নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত আগুনে পুড়ে যাওয়া ২৪ তলা গ্রেনফেল টাওয়ারের ভেতরে ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই হয়তো 'নিখোঁজ অনেকে রয়ে গেছেন'। এই সংখ্যাটা এখনো অজানা। তবে 'আর কেউ বেঁচে নেই' বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের।

ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হবার তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে নিখোঁজ বাসিন্দাদের বিষয়ে সব জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছেন স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা।

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন। ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, ‘কিভাবে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তার পূর্ণ তদন্ত করা হবে।’

পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ার নামে বহুতল ভবনটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ৬০০ থেকে ৮০০ লোকের আবাস গ্রেনফেল টাওয়ার নামের এই আবাসিক ভবনটিতে আগুন লাগে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাত একটার দিকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানালা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়েছেন। এমনকী শিশু সন্তানকেও নিরাপদে রাখার জন্য জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছে।

তারপরও ধোঁয়ার কারণে বহু মানুষ আটকা পড়েছিলেন ভবনটিতে, অনেকে বের হতে চাইলেও বের হতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ড্যানি কটন জানান, পুরো ভবনটিতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু আগুনে পুড়ে ভেতরে এমন ধ্বংসস্তুপ তৈরি হয়েছে যার মধ্যে অভিযান চালানো হবে খুব 'জটিল ও কষ্টকর'।

আর যেহেতু ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে আগে সেই বিষয়টা ঠিক করে পরে ধ্বংসস্তুপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাতে হবে বলেও জানান  কটন।

ড্যানি কটন আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে এখন আমরা আর কাউকে জীবিত পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা করছি না। আগুনের এত তীব্রতা ও তাপের পরও যদি কেউ জীবিত থাকে তাহলে তা হবে অলৌকিক ঘটনা।’

ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছে।

তবে, ঠিক কী কারণে এবং কিভাবে সেখানে আগুন লাগল সে নিয়ে এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেনি। আগুন লাগার আগে নর্থ কেনসিংটনের ঐ ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল। সেসময় ভবনের বাসিন্দাদের অনেকেই গুরুতর অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এসআই)