রামদেবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ভারতে যোগগুরু নামে পরিচিত রামদেবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে হরিয়ানার একটি আদালত। রোহতকের এসিজেএম হরিশ গয়াল বুধবার রামদেবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৩ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর এপ্রিলে হরিয়ানায় আরএসএস আয়োজিত সদ্ভাবনা সম্মেলনে রামদেব বলেন, ‘আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলাকে সম্মান করি। নইলে ভারত মায়ের অপমান করলে একজনের নয়, লাখো লোকেদের ‘মুণ্ডচ্ছেদ’ করার ক্ষমতা রাখি।’
রামদেবের মতে, ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলার অর্থ মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’
বিতর্কিত ওই মন্তব্যের জেরে হরিয়ানার সাবেক মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সুভাষ বাত্রা রামদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর করলে গত ২ মার্চ হরিয়ানার এসিজেএম রামদেবকে সমন পাঠান। বিচারক তাকে ১৪ জুন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় এবং একাধিকবার সমন অগ্রাহ্য করায় তার বিরুদ্ধে নতুন করে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
রামদেবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করার জন্য রোহতকের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বছর মার্চে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘সময় এসেছে নতুন প্রজন্মকে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দিতে বলার।যুব সমাজের প্রকৃত, সার্বিক, স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশের অংশ হবে এই স্লোগান।’ এরপর থেকে বিভিন্নমহলে তার ওই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বিজেপি-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্রের লাতুরে এক প্রকাশ্য জনসভায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘যদি আমার গলায় ছুরিও ধরা হয় তাহলেও ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলব না। কী করবেন (আরএসএস প্রধান) ভাগবত সাহেব?’
তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে, ভারত মাতার স্লোগান দেয়া জরুরি। আমি সংবিধানকে সম্মান করি এবং তা করতেই থাকব।’ এরপরেই রামদেব লাখো মানুষের মুণ্ডচ্ছেদ সংক্রান্ত ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
সূত্র: পার্স টুডে
(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এসআই)
মন্তব্য করুন