কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন স্টেশন ছাড়িয়ে সড়কে
ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য আগাম টিকিট দেয়ার শেষ দিনে ভিড় বেড়েছে আরও বেশি। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন স্টেশন চত্বর ছাড়িয়ে রাস্তায় চলে এসেছে।
আজ শুক্রবার দেয়া হচ্ছে ২৫ জুনের টিকিট। টিকিট বিক্রি শুরু হয় সকাল ৮ টা থেকে। এক যোগে ২৩টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়া হচ্ছে, এর মধ্যে নারীদের একটি কাউন্টারে টিকি দেওয়া হয়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় দিন। কিন্তু নারীদের বিক্ষোভের মুখে তাদের জন্য আরও একটি কাউন্টার বরাদ্দ করা হয়।
আজ দেওয়া হচ্ছে প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার টিকিট। নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি রাজশাহী, পার্বতীপুর ও দিনাজপুরগামী বিশেষ ট্রেনের টিকিটও দেওয়া হচ্ছে।
শেষ দিনের টিকিটের জন্য যে ব্যাপক চাহিদা তা এই লাইন দেখেই বোঝা যায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন ছোট হয়ে আসবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশ চক্রবর্তী।
টিকিটপ্রত্যাশী আল আমিন লাইনে এসেছেন সেই আগের সন্ধ্যায়। সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় আর দশ জনের পরেই ছিল তার সিরিয়াল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি কাঙ্খিত টিকিট পেয়ে যাবেন।
ঢাকাটাইমসকে আল আমিন বলেন, ‘ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির করার জন্য এতো কষ্ট করা, তবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি টিকিট পাব, অনেক ভালো লাগছে।’
রাজশাহীর ধুমকেতুর টিকিট নিতে এসেছেন সামিউল। তিনি বলেন, আমাদের ছুটি পরে হবে, প্রথম দিকে তাই টিকি নিতে পারি নাই। গতকাল সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েও দেখেন কত লোকের পরে সিরিয়াল। তবে কষ্ট যাই হোক, টিকিট পেলে সকল যন্ত্রণা ভুলে যাব।’
আগাম টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘২৬ জুনকে ঈদ ধরে আজই শেষ হচ্ছে টিকিট বিক্রি। ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেরনর টিকিট সংখ্যা প্রথম দিন ছিল ২২ হাজার একশ বাইশটি। দ্বিতীয় স্পেশাল ট্রেন ২টি যোগ হওয়ায় বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার একশটি, তৃতীয় দিন আরও একটি স্পেশাল ট্রেন যোগ হওয়ায় তা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার।’
ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমানিরহাট স্টেশন থেকে আগামী ১৯ তারিখ দেয়া হবে ২৮ জুনের ফিরতি টিকিট, ২০ জুন দেয়া হবে ২৯ জুনের টিকিট, ২১ জুন দেওয়া হবে ৩০ জুনের টিকিট, ২২ জুন দেওয়া হবে ১ জুলাইয়ের টিকিট এবং ২৩ জুন বিক্রি হবে ২ জুলাই ফিরতি টিকিট। কমলাপুর স্টেশন থেকে দিনে প্রায় ৫১টি ট্রেনের ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়, তার মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে বেশি।
ঢাকাটাইমস/১৬জুন/জিএম/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন